স্টেশনে থাকা ভবঘুরেদের বহু মূল্যের ব্ল্যকেট দান নদীয়ার রানাঘাট থানার আইসি
নদীয়া:
আমরা সকলেই জানি সুন্দর ভাবনার জন্য একটি সুন্দর মত থাকা দরকার,আর আরও একবার তার জ্বলন্ত উদাহরণ দেখা গেলো নদীয়ার রানাঘাট থানার আইসির কর্মকান্ডে।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরুতেই শুরু হয়েছে জাঁকিয়ে শীত, সাথে ঠান্ডা,পাশাপাশি কুয়াশাও। আর এই তীব্র ঠান্ডায় আমরা যারা ঘরের মধ্যে থাকি তাদেরই বেশ ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে যাবার জোগার।
একবার ভাবুন যারা খোলা জায়গাতে থাকছে তাদের কি অবস্থা? অনেকেই হয়তো ভেবেছেন, অনেকে তাদের সাধ্য মত পাশেও দাড়িয়েছেন।
এই ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে থাকছে তাদেরকে সাধারণ এই ঠান্ডায় আমরা কম্বল দান করি অনেকেই কিন্তু সেটার গুনগত মান আমাদের বাড়ির মত এত মোটা নয় যেটা দিয়ে হয়তো তীব্র শীত মানে না।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে রানাঘাট থানার I.C তন্ময় ভট্টাচার্য সহ তার টিম রানাঘাট স্টেশনে যারা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটায় তাদের জন্য সাধারণ দানের কম্বল নয় প্রচলিত আমরা বলে থাকি ব্লাংকেট যার গুনগত মান অনেক মোটা, আর সেই ব্লাংকেট নিয়ে হাজির রানাঘাট স্টেশনে।
বিষয়টি আর ৪ জনের কম্বল দানের মত নয় কারন তথাকতিথ ব্লাংকেট দান করা হয় তাদের। আমরা অফ ক্যামেরায় I.c. কে প্রশ্ন করেছিলাম এত দামি ও মোটা ব্লাংকেট কেউ তো দান করে না আপনি করলেন যে উত্তরে যা আসে আপনিও চমকে উঠবেন I.c তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন এই ব্লাংকেট টি আমি নিজে আগে ব্যবহার করে দেখেছি শীত মানে নাকি দেখলাম বেশ ভালো আমি নিজে ব্যবহার করার পর ওদের জন্য এনেছি শুধু মাত্র লোক দেখানো দান করে কি লাভ যদি মানুষ গুলির শীতই না মানে দেব যখন ভালো জিনিস দেব।
কথাটি শুনে কিছুক্ষন আমরাও থমকে গিয়েছিলাম কারণ এমন সুন্দর ভাবনার মানুষ এই সমাজে খুব কম আছে। সাধারণত কম্বল দানের নামে চাঁদরের থেকেও পাতলা বেশির ভাগ মানুষই দেয় কিন্তু এত মোটা ও ভারি ব্লাংকেট মনে হয় খুবই কম মানুষ দিয়েছে। রানাঘাট I.C এর ভাবনাকে আমরা কুর্নিশ জানায় এদিন প্রায় ১০০ জনের উপর মানুষকে ব্লাংকেট দান করা হয় বলেও জানা যায়।
তীব্র শীতে হাতে মোটা ব্লাংকেট পেয়ে খুশি সকলে, পাশাপাশি তারা বলে এত মোটা ও ভালো কম্বল আমরা আগে পাইনি শীতে কষ্ট পাচ্ছিলাম অনেকটা বাঁচালে বাবা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊