বিরলতম রোগে আক্রান্ত শিশু নিজের সন্তানকে বাঁচাতে দিশাহারা হতদরিদ্র পরিবার
১৬ কোটি টাকা একটি ইনজেকশনের দাম যা বিরলতম রোগের আক্রান্ত শিশু রোগ নির্ণয়ের জন্য।বিরলতম রোগে আক্রান্ত শিশু আর সেই রোগের চিকিৎসা করার জন্য দিশাহারা হয়ে গিয়েছে হতদরিদ্র পরিবার। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শিশুর বাবা-মা। এই রোগের একটি ইনজেকশন এর দাম আনুমানিক ষোলো কোটি টাকা, সেই বিপুল অংকের টাকা জোগাড় করতে কার্যত দিশাহারা হয়ে গিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
আর পাঁচটা শিশুদের মতন ২০২২ সালে বাবা-মার কোল আলো করে জন্মেছিল রিজওয়ান সরদার। জন্মের পর থেকে আর পাঁচটা শিশুর মতনই বড় হয়ে উঠছিল কিন্তু হঠাৎ ওই শিশুর শরীরে ধরা পড়লো মেরুদণ্ডের পেশীর অ্যাট্রোফি (SMA) tpye ২ রোগ। পরিবারের লোকজন এই বিরল রোগের চিকিৎসা খুঁজতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। প্রথমে ওই শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার পর ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে এক চিকিৎসককে দেখানোর পর এই রোগটি প্রকাশ্যে আসে।
স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) একটি জেনেটিক ডিসঅর্ডার যা মেরুদন্ডের মোটর নিউরনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে পেশীর অবক্ষয় এবং দুর্বলতা দেখা দেয়। এই রোগের কারণে সাধারণত ৬ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে প্রকাশ পায়। টাইপ ২ এসএমএ সহ শিশুরা স্বাধীনভাবে বসতে পারে কিন্তু কখনো হাঁটতে পারে না। এই রোগের প্রতিকার একটি ইনজেকশন। এই ইনজেকশন এর দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এই ইনজেকশনের দাম ১৬ কোটি টাকা। সাধারণত এই ইনজেকশন আমেরিকা থেকে আনতে হয়। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের এত বিপুল অংকের টাকা জোগাড় করতে কার্যত হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুর থানার অন্তর্গত শংকরপুর গাজিরহাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আজিজুল সরদার। আজিজুল পেশায় ফল বিক্রেতা কার্যত দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার কিন্তু আজিজুলের ছেলে রিজওয়ানের শরীরে বিরলতম জিনগত এই রোগ দানা বেধেছে। চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে হতদরিদ্র আজিজুল সর্দার।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এক বছর বয়স থেকে শিশুটির রোগ হতে শুরু করে। তখন লোকাল ডাক্তার দেখিয়েছিল। তারপরে কলকাতার পিজি হাসপাতালে শিশুটিকে দেখায়। সেখানে শিশুরোগ সূরাহা না হওয়াতে বেঙ্গালুরু নিয়ে যায় শিশুর মা বাবা। শিশুটির দেহে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার এই রোগের কথা জানায় তার মা বাবাকে।
ডাক্তার জানান এই রোগের একমাত্র ইনজেকশন পাওয়া যায় আমেরিকাতে এবং ১৬ কোটি টাকা দাম। তার মা আরো জানান ডাক্তার বলেছে শিশুটি যদি কুড়ি কেজি ওয়েট হয়ে যায় তাহলে আর এই ইনজেকশনে কাজ করবে না। এই মুহূর্তে শিশুটির ওজন ১২ কেজি। তাই সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এবং মানুষের কাছে সাহায্যে আরজি জানান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊