বৃষ্টির জলে চাষের জমি জলমগ্ন মাথায় হাত কৃষকদের
হুগলি জেলার আরামবাগ ব্লকের তিরোল অঞ্চলের নৈসারাই এলাকার বিভিন্ন জায়গার জমিতে জমেছে জল। বিগত দুদিন ধরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে কোথাও বা কম কোথাও বা বেশি। এরই মধ্যে জমি জুড়ে জল জমে থাকার ছবি উঠে এলো হুগলি জেলার আরামবাগ ব্লকের তিরোল অঞ্চলের নৈসারাই এলাকার বিভিন্ন জায়গার কৃষি জমিতে। আশঙ্কা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় দানার বিশেষ প্রভাব পড়েনি বাংলায়।
ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করে ওড়িশাতেই আটকে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। সকালেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শেষ করে ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ঝড়ের দাপট না থাকলেও বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। তাতেই কপালে চিন্তার হাত কৃষকদের। হুগলি জেলার আরামবাগ ব্লকের তিরোল অঞ্চলের নৈসারাই এলাকার কৃষি জমিতে থাকা ধান গাছ একেবারে নুইয়ে পড়েছে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার তান্ডবে। জমিতে জল আর ধান গাছ যেন সমান হয়ে গেছে। কৃষকরাও এই বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে নেমে পড়েছেন কিছুটা হলেও সামাল দেয়ার জন্য। কিন্তু প্রকৃতির কাছে সকলেই অসহায়। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা পঞ্চায়েতে এবং বিডিও অফিসে জানাবেন বলে স্থির করেছেন কৃষকরা। যাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিছুটা হলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়, আপাতত সেই আশায় রয়েছেন তারা। এ কথা জানান স্থানীয় কৃষক শেখ বাবর আলী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সারারাত জেগে ছিলেন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি লক্ষ্য করতে। তাই বুথ লেভেলের কর্মী হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে বসে সবসময় সজাগ থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন বলে জানালেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মির চঞ্চল।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks