নীলগঞ্জ রোড মহুয়া ক্লাবের পূজো মন্ডপে এবার অগ্নিকন্যা
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। মাঠে কাশফুল। আকাশে সাদা তুলোর মত মেঘের ভেলা। জানান দেয় এসেছে শরৎ হিমের পরশ। আর শরৎ মানেই দেবী দুর্গার আগমন। যাকে ঘিরে সারা বছর জুড়ে থাকে শত শত পরিকল্পনা। আর সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা একটি বছরজুড়ে চলে থিমের দুনিয়ায় নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই। তাই এ বছরও হাল ছাড়তে নারাজ বেলঘড়িয়া নীলগঞ্জ রোড মহুয়া ক্লাব সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
কামারহাটি পৌরসভার শত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নীলগঞ্জ রোডের ধারে অবস্থিত বেলঘড়িয়া নীলগঞ্জ রোড মহুয়া ক্লাব। ৩৬ তম বর্ষে এ বছরের ভাবনা অগ্নিকন্যা। মন্ডপের প্রবেশের মুখে চোখে পড়বে কুড়ি ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি বিরাট আকৃতির মা দুর্গার মূর্তি। ঠিক তার পাশ দিয়ে ভিতরের দিকে এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্য থেকে শুরু করে সীতার অগ্নি পরীক্ষার খন্ড চিত্র। মন্ডপ সজ্জা জুড়ে এমনই মহীয়সী নারীদের জীবন কথা তাদের সংগ্রাম তাদের আত্মত্যাগ সমস্তটাকে অগ্নিকন্যা রূপে এ বছরে মণ্ডপ জুড়ে উপস্থাপন করতে চলেছে বেলঘরিয়া নীলগঞ্জ রোড মহুয়া ক্লাব। জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
শিল্পী অতনু রায়ের ভাবনায় প্রতিবছরের মতো এ বছরেও এই পুজো মণ্ডপ সেজে উঠছে একেবারে অন্য আঙ্গিকে। প্রতিবছরের মত এ বছরেও দর্শনার্থীদের নজর করবে মহুয়া ক্লাবের পূজ মণ্ডপ এমনটাই আশাবাদী উদ্যোক্তারা। টানা তিন মাছ ধরে 19 জন কর্মীদের সহযোগিতায় শিল্পী অতনু রায় সাজিয়ে তুলেছেন বিশাল আকৃতির এই পুজো মন্ডপ কাঠের গুঁড়ো প্লাস্টিকের চায়ের কাপ থেকে শুরু করে খাবার জন্য ব্যবহৃত হালা কাঠি ফুলের পাপড়ি ব্যবহৃত অতি সামান্য জিনিসপত্র দিয়ে গোটা মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। থিমের আদলে দেবী দুর্গার মূর্তি উপস্থাপন করা হবে মণ্ডপে। রকমারি কাপড় এবং ভেষজ রং মূলত মন্ডপ সাজসজ্জার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। আগামী চতুর্থীর দিন দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে এবছরের নীলগঞ্জ রোড বেলঘড়িয়া মহুয়া ক্লাবের দুর্গাপুজোর মন্ডপ। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও দর্শনার্থীদের কৌতুহল এবং উৎসাহ আমরা বজায় রাখতে পারবো। নিরাশ হয়ে ফিরতে হবে না দর্শনার্থীদের মধ্যে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
আরজিকর কাণ্ডের মাঝে সমাজে অসুর নিধনকারী নারীদের অগ্নিকন্যা রূপে গর্জে ওঠা প্রয়োজন। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে ইতিহাসের স্পষ্ট তো রয়েছে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার থেকে শুরু করে রানী লক্ষ্মীবাঈ লতা মঙ্গেশকর এর মতো প্রতিভাবান প্রতিবাদী নারীদের চরিত্র। যাদের উপস্থাপন করা হবে মন্ডপের প্রতিটি কোণ জুড়ে। বলাবাহুল্য এবছর এই পুজো মন্ডপে প্রবেশ করলে চমকে যাবেন প্রতিটি দর্শনার্থী। মাতৃ শক্তিকে মন্ডপ জোরে দেখানো হবে একেবারে অন্যরকম আঙ্গিকে। যা ইতিমধ্যেই হিমপ্রকাশের পর থেকেই কৌতুহল বাড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের মধ্যে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks