কলতান দাশগুপ্তকে নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবীতে রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও অভিযান

kalatan


ভাইরাল অডিও কাণ্ডে গত কাল পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বামপন্থী যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে।এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে গতকাল ও আজ গোটা রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও এর ডাক দিয়েছে SFI, DYFI, AIDWA। আজ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনহাটা থানার ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বামপন্থী ছাত্র যুব ও মহিলা সংগঠনের সদস্যরা।

নেতৃত্ব জানান আর জি কর কাণ্ডের আন্দোলনকে ভাঙতে DYFI এর রাজ্যের পত্র-পত্রিকা সম্পাদক কমরেড কলতান দাশগুপ্তকে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে নির্শত মুক্তি দিতে হবে ও তিলোত্তমার এই ঘৃণ্য অপরাধের সাথে যারা যুক্ত সকলকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।

এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই দিনহাটা লোকাল সম্পাদক তথা জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আবির দেব,সভাপতি সুব্রত রায়,জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শুভজিৎ দাস,জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক পাটোয়ারী, ডিওয়াইএফআই দিনহাটা লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শুভ্রালোক দাস, সভাপতি উজ্জ্বল গুহ,জেলা কমিটির সদস্য মনিরুল হক,মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুজাতা চক্রবর্ত্তী,মহিলা নেত্রী শুদেবী সরকার সহ অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গত কলতান দাশগুপ্তের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিপিআইএম। প্রেস বিবৃতিতে এই ঘটনাকে 'আক্রোশমূলক' বলে দাবি করে শনিবার বিকেলে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “কমরেড কলতান দাশগুপ্তের বেআইনি ও আক্রোশমূলক গ্রেপ্তারের ঘটনার আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করছি। যে ঘটনাক্রমের মধ্য দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাতে 'জাস্টিস ফর আরজি কর'-এর দাবিতে ঘটমান গণআন্দোলনকে বদনাম করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে”।

আরও বলা হয়, “আমরা কলতান দাশগুপ্তকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এবং এই ধরনের মিথ্যা জাল 'প্রমাণ' যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য মামলা দায়ের করার দাবি জানাচ্ছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ করা হোক এই দাবিতেও আমরা অটল আছি”।