তৃণমূল বিধায়কের কলেজ হস্টেলে ফার্মাসি ছাত্রের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের 

Pharmacy student death



মালদা:

আর জি কর কান্ডের আবহের মধ্যে এবারে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হল মালদহের ফার্মাসি ছাত্রের মৃতদেহ। জাকির হোসেন ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল তোহিদ করিম। চলতি মাসের ১৩ তারিখ রাত্রে এই কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় তোহিদের নিথর দেহ। পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে। 



ঘটনার পর স্থানীয় রঘুনাথগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ বলে অভিযোগ। বলা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই অভিযোগ পত্র নেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয় কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং থানা থেকে জানানো হয় সংবাদমাধ্যমে না জানানোর জন্য। 



মৃত ছাত্রের বাবা, রেজাউল করিমের অভিযোগ, ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের সাথে কথা হয়ে ছিল। ছেলে বাড়ি থেকে আমের আচার এবং ছাতু আনার কথা বলে ছিল। কোন রকম মানসিক অবসাদে ছিল না আমার ছেলে। যদি মানসিক অবসাদে থাকত তাহলে ১২ তারিখ রাত্রে ছেলের কথা বার্তায় আমরা বুঝতে পারতাম। আমি পেশায় লরি চালক সেই সূত্রে ১৩ তারিখ আমি রঘুনাথগঞ্জে ছিলাম। সকাল থেকে আমার ছেলের ফোনে সুইচ অফ আসছিল। রাত নটা নাগাদ আমি হোস্টেলে যেতেই আমার ছেলের রুমমেট ফোন করে জানায় তোহিদ মারা গেছে। আমি হোস্টেলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ আমাদের দেখানো হয়নি। আমাদের খবর দেওয়া হয়নি অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। আমি না গেলে হয়তো জানতেই পারতাম না আমার ছেলে মারা গেছে। দেহ হয়তো লোপাট করা হত। পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে তাই বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলছি আমি। পুলিশ বলেছিল ময়না তদন্ত হবার সময় আমাদের উপস্থিতিতে হবে অথচ আমাদের জানানো হয়নি এমনকি এখনো পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ নেয়নি পুলিশ ,পাল্টা আমাদের শাসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মালদার ইংলিশ বাজার থানার যদুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তোহিদ করিম। পাড়াতে খুব মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিল সে। তাই তার মৃত্যু কোন ভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। 



পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিলে আরজিকরের ঘটনার মতো আমরা গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে আজ সোচ্চার হন তারা। তোহিদের ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ভালো কিছু হওয়ার। এই ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারে না। পরিকল্পনা করে হোস্টেলেই মারা হয়েছে তাকে। যেহেতু ওই ইনস্টিটিউট স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের। তাই পুলিশ এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে লিখিত অভিযোগ নিচ্ছে না। অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় যদুপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সেনাউল ইসলাম।