পূর্বের ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতিকে উসকে দিয়ে, সচেতনতার বার্তা পুলিশের
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-
সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ, পূর্বের ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতিকে উসকে দিয়ে, সচেতনতার বার্তা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের।
কিছু অসতর্কতার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা কবলে পড়ে প্রাণ হানির মতো ঘটনার সাক্ষী রয়েছে জেলা বাসি। শুধু শহরেই নয়। শহরের গাঁঘেশা জাতীয় সড়কেও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে,সেই কারণে জেলার প্রতিটি জায়গায় জায়গায় সচেতনতা প্রচার চালান বীরহাটা সাব ট্র্যাফিক পোস্টের ওসি চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়।জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ সিংয়ের নির্দেশে শহরের কয়েকটি জায়গায় হেলমেটহীন মোটরবাইক চালকদের দাঁড় করিয়ে আতঙ্কের কথা শোনান দুর্ঘটনায় পড়া যুবকরা।
গত দিন কয়েক আগে বাড়ি থেকে একটু দূরে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন বর্ধমান থানার পালার মোড়ের বাসিন্দা গিরিধারী সাহা। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে আসার সময়ে একটি লরি ধাক্কায় মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান গিরিধারী। ধাক্কা লাগে রাস্তার ধারে থাকা গার্ডওয়ালের সঙ্গে।
ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তিন মাস হাসপাতালে কাটিয়ে সদ্য বাড়ি ফিরেছেন।সেদিনের অভিজ্ঞতার কথা হেলমেটহীন বাইক চালকদের জানালেন গিরিধারী সাহা ।
গত মাস চারেক আগে চারেক আগে শহরের ঢলদীঘি প্রেটল পাম্পের কাছে টোটোর সাথে ধাক্কা লাগে জামার গ্রামের বাসিন্দা কাজি ইসরাইলের।
আচমকা টোটোর সাথে ধাক্বা লাগে।ছিটকে পড়েন রাস্তায়। মাথায় আঘাত লাগে। ভেঙে যায় ডান পা। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে। সেদিনের অভিজ্ঞতার শেয়ার করে কাজি ইসরাইলের।
এদিন উল্লাস মোড়, বীরহাটা, বড়নীলপুর মোড় সহ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় দাঁড়িয়ে এই দুই ঘটনার কথা মোটরবাইক আরোহীদের জানান গিরিধারী ও কাজি ইসরাইল। ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা হ্যান্ডবিলও বিলি করেন। যেখানে লেখা, ‘অনেকের রক্তের প্রয়োজন আছে। তাঁদের জন্য রক্ত দিন। অযথা নিজের রক্ত রাস্তায় দেবেন না।’ আবার লেখা রয়েছে, ‘গাড়ি চালানোর সময়ে ফোনে কথা বলবেন না। কারণ আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে অনেক কথা বাকি আছে।’
0 মন্তব্যসমূহ
thanks