‘ভুল’ মানুষকে বিয়ের পরিণতি! কাপড়ে জড়ানো দিদির দেহ, জড়িয়ে হাউহাউ কান্না ভাইয়ের
এক গৃহবধুকে বেধড়ক মারধর করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে।মৃত বধুর নাম বান্টী মন্ডল দাস(২৬)।বৃহষ্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি পঞ্চায়েতের পূর্ব খাসকুমড়ো খালি মধ্যপাড়া গ্রামে।ক্যানিং থানার পুলিশ মৃত বধুর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গত প্রায় ১১ বছর আগে ক্যানিংয়ের তালদি পঞ্চায়েতের ট্যাংরাখালির কাঁকড়াদহের দাসপাড়ার কানাই দাসের মেয়ে বান্টী’র সাথে বিয়ে হয় তালদি পঞ্চায়েতের পূর্ব খাসকুমড়োখালির মধ্যপাড়ার নারদ মন্ডলের।দম্পতির ৯ বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত নানান অজুহাতে ওই বধুর ওপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতো বধুর স্বামী নারদ।এমনকি বেধড়ক মারধর করা হতো বলে অভিযোগ। বিগত দিনে মেয়ে ওপর জামাইয়ের মাত্রাছাড়া অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বধুর মা বিপাশা দাস।ওই বধুর মায়ের আরো অভিযোগ বৃহষ্পতিবার সকালে জামাই খবর দেয় বান্টী অসুস্থ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।আমরা হাসপাতালে এসে দেখি,আমার মেয়ের মরদেহ ভ্যানের ওপর শোয়ানো রয়েছে। জামাই ও মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলছে জামাই। মেয়ে যদি আত্মহত্যা করবে তাহলে জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেল কেন?জামাইয়ের কঠোরতম শাস্তির আবেদন জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’
বধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ক্যানিং থানার পুলিশ। পাশাপাশি এটি খুন না আত্মহত্যা সে বিষয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।অন্যদিকে বৃহষ্পতিবার সকালে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর কাঁকড়াদহ গ্রামে পৌঁছালে গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊