দলকে আরো সংঘবদ্ধ করতে বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস
আগামী ১৬ তারিখ হবে বিরাট রদবদল !বেশ কিছু অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেতৃত্বের
কোচবিহার:
পাখির চোখ কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভের পরে এবার টার্গেট 2026 বিধানসভা নির্বাচন। এক সময় কোচবিহারে নয়টি বিধানসভা আসনের আটটিতে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই গরিমা ফিরে পেতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে পরিষ্কার জানালেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
আগামী ১৬ তারিখ ভাগ্য পরীক্ষা। বেশ কিছু অঞ্চল এবং বেশ কিছু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। কেন পারেনি কোথায় ছিল খামতি, সেইসব তুলনামূল্য বিচার করে এবার বেশ কিছু অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি ভাঙতে চলেছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি জেলা সভাপতি অভিজিৎ বাবু জানান, ইতিমধ্যেই আমরা বেশ কিছু সমীক্ষা করেছি। যার ফলে দেখা গেছে কয়েকটি অঞ্চল এবং কয়েকটি ব্লক লোকসভা নির্বাচনে নিরিখে ঠিকমতো দলের হয়ে কাজ করেনি। যেখানে আশানুরূপ ফল হওয়ার কথা ছিল সেখানে হয়নি, আবার কোথাও কোথাও ঘাটতি থাকলেও বিগত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নিরিখে ফল ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ কয়েকটি অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৬ তারিখ এই ব্লক এবং অঞ্চল কমিটিকে ভেঙে দিয়ে নতুন করে তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে রাজ্য নেতৃত্ব এবং কোচবিহার জেলা কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা আওতাভুক্ত কোচবিহার শহরে ২০২১ শে তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল ১৪ হাজার ভোটে, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২৪ শে প্রায় ১৮০০০। আবার শীতলখুচিতে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে ২০২১ এ পিছিয়ে ছিল। কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে, যা হওয়ার কথা ছিল না। এই সবমিলিয়েই পর্যালোচনা চলছে বলে জানান অভিজিৎ বাবু।
এছাড়াও লাগাতার চলছে যোগদান কর্মসূচি। লাগাতার ভাঙ্গন বিজেপি শিবিরে। এবার তুফানগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বলরামপুর দুই নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানসহ ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলা দলীয় কার্যালয়ে পঞ্চায়েত প্রধান আরতি বর্মনের নেতৃত্বে চারজন পঞ্চায়েত একজন অঞ্চল কনভেনার এবং একজন মন্ডল ট্রেজারার সহ পঞ্চায়েত সমিতির একজন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিকের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে নেয়। বিজেপিতে থেকে মানুষের উন্নয়ন করা সম্ভব নয় কারণ সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের উন্নয়নের প্রতি বেশি আস্থাবান, এমনটাই জানালেন আরতি বর্মন।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks