ভোট পেরোতেই পুনরায় ফাঁসির ঘাটের সেতুর দাবি উঠলো কোচবিহারে
প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো দিয়ে তোর্সা নদীর উপরে ফাঁসির ঘাট পারাপারের ব্যবস্থা করেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। আবার প্রতিবছর বৃষ্টির মৌসুমে সেই সেতু নদীর জলে ভেসে যায়। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। বেশ কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ফাঁসির ঘাটের অস্থায়ী সাঁকো। এই সাঁকো মূলত ব্যবহার করেন কোচবিহার শহরে কাজে আসা দিনমজুরদের একাংশ। প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ এই সাঁকোর উপরে ভরসা করে নিজেদের দৈনিক রুজি রুটির ব্যবস্থা করেন।
কোচবিহার এক নাম্বার ব্লকের টাপুরহাট, শুটকাবাড়ি, পানিশালা, পাঠছড়া, চান্দামারী, চিলকির হাট এলাকার প্রচুর মানুষ এই সাঁকোর উপরই ভরসা করেন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে গেছে অস্থায়ী সেই সাঁকো। তাই প্রায় ১১ কিলোমিটার ঘুরপথে কোচবিহার শহরে আসতে হচ্ছে তাদের। শুধু দিনমজুর নয়, কোচবিহার শহরে বা শহর সংলগ্ন বাজার গুলিতে যে সবজি পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগ আমদানি হয় এই গ্রামগুলি থেকেই। ১১ কিলোমিটার ঘুরে আসার কারণে কাঁচামালের ওপরে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে কিছুটা হলেও দামে হেরফের হচ্ছে সবজির। দীর্ঘদিন থেকেই এই ফাঁসিরঘাট সেতুর দাবি উঠে আসছে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় লাভের পরে আরো একবার এই দাবি প্রকাশ্যে আসলো। নতুন নবনির্বাচিত সংসদের কাছে এলাকার বাসিন্দারা দাবি জানিয়েছেন অবিলম্বে অবিলম্বে একটি সেতু তৈরীর ব্যবস্থা করা হোক এই ফাঁসির ঘাট দিয়ে। যার ফলে কোচবিহার শহর এবং টাপুর হাটের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হবে। সাধারণ মানুষের উপকার হবে। বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊