জেলায় ফের নজর কাড়ল মুন্সিরহাট সাদেকিয়া হাই মাদ্রাসা


madrasha



জেলায় ফের নজর কাড়ল মুন্সিরহাট সাদেকিয়া হাই মাদ্রাসা। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় জেলায় স্থান করে আসছে। শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডের ফল। আর ফল প্রকাশ হতেই খুশির হাওয়া মুন্সিরহাট জুড়ে। সম্ভাব্য চার নম্বরের জন্য রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করতে পেলেন না সুমাইয়া সুলতানা। এবছর জেলায় সম্ভাব্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হয়ে মুন্সিরহাট সাদেকিয়া হাই মাদ্রাসার মুখ উজ্জ্বল করেছে যথাক্রমে, সুমাইয়া সুলতানা, রুমানা ইয়াসমিন, ইন্দ্রানী সিং, জাহিদা বেগম ও জান্নাতুন নেসা।


কোচবিহার জেলার দিনহাটা ১ ব্লকের ওকরাবাড়ি এলাকার মুন্সিরহাট ছাদেকিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সুমাইয়া সুলতানা জেলার সম্ভাব্য প্রথম হয়েছেন। সুমাইয়ার প্রাপ্ত নাম্বার ৭৫৮। সে বাংলায় ৯০, ইংরাজীতে ৯২, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবনবিজ্ঞানে ৯২, ইতিহাসে ৯৪, ভূগোলে ৯৯, ইসলাম পরিচয়ে ৯৩ নম্বর পেয়েছে। সুমাইয়ার এই ফলে যেমন খুশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তেমনি খুশি এলাকার মানুষজন।


ওই স্কুলের ছাত্রী রুমানা ইয়াসমিন জেলায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৪৭। সে বাংলায় ৯২, ইংরাজীতে ৮৫, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবনবিজ্ঞানে ৯৪, ইতিহাসে ৯৭, ভূগোলে ৯৩, ইসলাম পরিচয়ে ৯০ নম্বর পেয়েছে।


অন্যদিকে ওই মাদ্রাসার আরেক ছাত্রী ইন্দ্রানী সিং জেলায় সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৪২। সে বাংলায় ৯১, ইংরাজীতে ৮৮, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৪, জীবনবিজ্ঞানে ৯৩, ইতিহাসে ৯৪, ভূগোলে ৯২, ইসলাম পরিচয়ে ৯০ নম্বর পেয়েছে। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চান।


অপরদিকে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী জাহিদা বেগম ৭২৩ ও জান্নাতুন নেসা ৭২০ নম্বর পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য চতুর্থ পঞ্চম হয়েছেন। দুজনেই ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে সমাজে কাজ করতে চান।


মুন্সিরহাট সাদেকিয়া হাই মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকাদের দায়িত্ববোধ, নিয়ামাবর্তিতা এবং পড়ুয়াদের নিয়ম নিস্টার ফলে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেক বছর আমাদের মাদ্রাসা থেকে জেলায় প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করে। এবছর চার নম্বরের জন্য রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করতে পারেনি আমাদের স্কুলের ছাত্রী সুমাইয়া সুলতানা। এই ফলাফলে আমরা খুবই আনন্দিত।