West Bengal: শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপালের

bratya basu


লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor CV Anand Bose)। এই সুপারিশকে X হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।



নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) মন্ত্রীসভা থেকে সরানোর সুপারিশ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। পিটিআই সূত্রে এমনই খবর সামনে এসেছে।


প্রসঙ্গত গত ৩০ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের একটি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) । যা নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সমান বলে দাবি ছিল বিরোধীদের। এই আবহে এবার রাজ্যপাল (Governor CV Anand Bose) ক্যাবিনেট থেকে ব্রাত্য বসুকে সরানোর জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছেন বলেই মত রাজভবনের সূত্রের।


ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সকালে। X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল ও নবান্নে সম্পর্কের অবনতিতে দায়ী একমাত্র শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সংবাদসংস্থা পিটিআই ওই পোস্টটি উদ্ধৃত করে। পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।


বিকেলে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ ওঠে। X হ্যান্ডেলে করা ওই পোস্ট রাজভবনের তরফে ডিলিট করা হয়েছে বলেই দাবি করেন খোদ ব্রাত্য বসু। তবে তার কিছুক্ষণের মধ্যে ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করে রাজভবন। নবান্নে এই মর্মে সুপারিশপত্র পাঠানো হয়।


রাজ্যপালের এই সুপারিশকে হাস্যকর বলে দাবি করেন ব্রাত্য (Bratya Basu) । X হ্যান্ডেলে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’