Jalpaiguri: নিছক ঝড় না টর্নেডো ! হাওয়া অফিসের ভূমিকায় ক্ষোভ উত্তরে
২০২২ এর ১৫ এপ্রিল, কোচবিহারে একইভাবে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলো আচমকাই ছুটে আসা ঝড়। অথচ আবহাওয়া দপ্তরের কোন পূর্বাভাস ছিলো না। বর্তমান সময়ে এতো উন্নত প্রযুক্তি থাকা সত্বেও কোচবিহারে সেদিন যেমন ঝড়ের কোন পূর্বাভাস জারি হয়নি, ঠিক দুবছর পর জলপাইগুড়িতে গতকাল ঘটে যাওয়া ঝড়েরও কোন পূর্বাভাস জারি করেনি আবহাওয়া দপ্তর, এমনি অভিযোগে ফুঁসছে স্যোসাল মিডিয়া।
রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। এদিন ঘণ্টায় অন্তত ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিও হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়নাগুড়ির রাজারহাট, বার্নিশ, বাকালি, জোরপাকড়ি, মাধবডাঙা, সাপ্টিবাড়ি গ্রামে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবরে প্রাণ হারান অন্তত পক্ষে ৪ জন।
প্রচুর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন বহু মানুষ। ৪ থেকে ৫ মিনিটের এই ঝড় থামতেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, দৈত্যের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে ছুটে আসছে ঝড়।
তবে ভাইরাল সেই ভিডিও দেখে অনেকের অনুমান, এটি নিছক কালবৈখাশী নয়। সম্ভবত টনের্ডো। এর আকার আকৃতি দেখে অনেকেই বলছে মিনি টর্নেডো।
তবে নিছক ঝড় বা মিনি টর্নেডো, যেটাই হোক না কেন, আবহাওয়া দপ্তর কেন পূর্বাভাস দিয়ে সচেতন করতে পারলো না, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। কেউবা বলছেন-"আবহাওয়া দপ্তর কলকাতার জন্য। ওখানে মানুষ থাকে আর উত্তর বঙ্গের মানুষদের মানুষ মনে করে না ।" কেউ বলছেন-"আবহাওয়া দপ্তর উত্তরবঙ্গের খবর রাখে না"
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊