‘দিল্লীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন’, তোপ অভিষেকের

Abhishek Banerjee


দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের বাইরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি। সেই প্রতিনিধিদের দিল্লি পুলিশ উঠিয়ে দেয়। তৃণমূল প্রতিনিধিদের প্রিজন ভ্যানেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, কমিশনের অফিসের সামনে থেকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বিক্ষোভকারীদের। বিকেল চারটে নাগাদ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কিন্তু কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমার দেওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে ধরনায় বসে পড়েন তাঁরা। ঘোষণা করেন, ২৪ ঘণ্টা ধরে এই ধরনা চলবে। এরপরই আসরে নামে দিল্লি পুলিস। প্রতিনিধিদের পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কলকাতায় ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান।



রাজভবনে থেকে বেড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের বাইরে থেকে তৃণমূলের সাংসদদের টেনে হিঁচড়ে অসম্মানিত করেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআইএসএফ। এ কাজ কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না। কমিশন গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজ গণতন্ত্রের কালো দিন।”



তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, “নির্বাচন কমিশন বিজেপির হাতের পুতুল। যে নির্বাচন কমিশন দেশের গর্ব ছিল সেই নির্বাচন কমিশন বিজেপির কাছে মাথা নিচু করেছে।”



তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করছি। আপনারা চান না বিরোধীরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাক। ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।”



এদিন দিল্লীতে তৃণমূল প্রতিনিধিদের উঠিয়ে দেওয়া ও পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তোলা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহকে ‘দায়ী’ করেননি তিনি। বরং নির্বাচন কমিশনের ঘাড়েই সব দোষ চাপিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, দেশে এখন নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর রয়েছে। এই সময় কোনও সরকার কোনও কিছু করতে পারে না, সব কমিশনের নেতৃত্বাধীন। তাই যা হয়েছে সবটাই কমিশন করিয়েছে বলে দাবি অভিষেকের।