Protein Powder: ৩৬ টি জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডারে 70 শতাংশে ভুল তথ্য, গবেষণায় চাঞ্চল্য

protein powders




ভারতে (India) ৩৬ টি জনপ্রিয় প্রোটিন পাউডারকে (Protein Powder) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল এক গবেষণায়। রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতে প্রচলিত ৩৬টি প্রোটিন পাউডারের কোম্পানি থেকে যে খাবার উৎপন্ন হয়, তার উপর নিয়মিত নজরদারি করে সেগুলির লেবেলিংয়ের নির্ভুলতা এবং বিজ্ঞাপিত দাবির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। ওই ৩৬টি ব্র্যান্ডের উপর নজরদারি এবং পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেগুলি বিক্রির জন্য যেভাবে লেবেল করা হয়েছে , তার বেশিরভাগ নির্ভুল নয়।



36টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোটিন পাউডারের (Protein Powder) উপর করা বিশ্লেষণের ফলাফল, যার মধ্যে ভেষজ এবং খাদ্যতালিকাগত পরিপূরক যেমন ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপাদান রয়েছে, তা গত সপ্তাহে পিয়ার-রিভিউ জার্নাল মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছিল।



প্রোটিন (Protein Powder) সম্পূরকগুলি হল উচ্চ প্রোটিন খাদ্যদ্রব্যের নির্যাস বা ঘনত্ব যা শরীর গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের (প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক) একটি চর্বিহীন এবং বিশুদ্ধ উত্সে প্রোটিন (Protein Powder) গ্রহণের জন্য একটি খাদ্যতালিকাগত পরিপূরক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে 36টি সম্পূরকের প্রায় 70 শতাংশে ভুল প্রোটিন (Protein Powder) তথ্য রয়েছে, কিছু ব্র্যান্ড তাদের দাবি করা মাত্র অর্ধেক উপাদান দিয়ে থাকে । এছাড়াও, প্রায় 14 শতাংশ নমুনায় ক্ষতিকারক ছত্রাকের আফলাটক্সিন রয়েছে, যেখানে 8 শতাংশে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।

protein powder


পাশাপাশি সেই প্রোটিন পাউডারগুলিতে যে যে দ্রব্যগুলি রয়েছে, তা কতটা পরিমাণ করে মেশানো, তাও পুরোপুরি নির্ভুল নয়। সঙ্গে ওই প্রোটিন পাউডারে বব্যবহার করা ওষুধের পরিমাণ এবং তার গুণগত মান কেমন, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এই গবেষণায়। ওই প্রোটিন পাউডারগুলির নির্ভরযোগ্যতা কতটুুকু, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে ওই প্রোটিন পাউডারগুলির (Protein Powder) মধ্যে টক্সিনও রয়েছে বলে গবেষণায় প্রকাশ।


প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) এমন একটি খাবার, যা দেশের বেশিরভাগ খেলোয়াড় থেকে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ খেয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে সেনা কর্মী থেকে অভিনেতা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই প্রোটিন পাউডার খাদ্য তালিকায় রাখেন। ফলে এই খাবারের গুণগত মান খারাপ হলে, তার প্রভাব বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বাস্থ্যের উপর পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই গবেষণা সামনে আসবার পরই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।