বদলালেন রাজনৈতিক পরিচয়, মুখপাত্র কুনাল এখন শুধুই সাংবাদিক
মনোজ কুমার বর্মন:
হঠাৎ করেই বদলে গেল কুনাল ঘোষের পরিচয়। তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের এখন শুধুই সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীর পরিচয়। আর তা নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, গতকাল থেকে তার মোবাইল ফোনও নাকি সুইচড অফ। কিন্তু কেন এমন করলেন কুণাল? কি এমন হলো তার, যে মুছে ফেললেন রাজনৈতিক পরিচয়? তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাবেন এহেন কল্পনা একেবারেই পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা, বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে তিনি যেভাবে ব্যাট করেন তা থেকে দলের প্রতি তার নিষ্ঠা ও আনুগত্যের কোন তুলনা হয় না।
সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, গতকাল এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে দলের কোন এক নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুণাল। তিনি লেখেন, “নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ, স্বার্থপর। সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতি কর্মীদের আবেগে ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি করবে। সেটা বারবার হতে পারে না।” রাজনৈতিক মহলের ধারণা তিনি উত্তর কলকাতার সংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। অনেকের ধারণা সুদীপবাবুর সঙ্গে কুনাল ঘোষের সম্পর্ক ততটাও ভালো নয়। কিন্তু যতই সম্পর্ক খারাপ হোক না কেন তা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তার জন্য সামাজিক মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিচয় মুছবেন কেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আজ রাজ্যে বঙ্গ বিজেপির মেগা ইভেন্ট, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলায় তার জনসভা করবেন হুগলির আরামবাগে। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এ রাজ্যে লোকসভার নির্বাচনী দামামা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়ে বাজানোর চেয়ে বড় আর কি হতে পারে বঙ্গ বিজেপির কাছে? কার্যত, এই মেগা ইভেন্ট ঘিরে বঙ্গ বিজেপির উৎসাহ আজ তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই, এই সভাকে বিজয় সংকল্প সভা নামে নামাঙ্কিত করা হয়ে গেছে। শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার আজই হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করবেন সভার মাধ্যমে। এমন মেগা ইভেন্ট থেকে বঙ্গবাসীর নজঢড় ঘোড়াতেই কি এমন কাজ করলেন কুণাল? সে কথা হয়তো তিনিই ভালো বলতে পারবেন, রাজনৈতিক মহলের নজর এখন সে দিকেই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊