চড়ুইগাছি এফপি বিদ্যালয়ের দোল উৎসব


চড়ুইগাছি এফপি বিদ্যালয়ের দোল উৎসব




গাইঘাটা,২৩মার্চ, শনিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তর ২৪ পরগণা জেলার প্রান্তিক শহর গাইঘাটা ব্লকের অন্তর্গত ধর্মপুর-১ চড়ুইগাছি এফপি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, সহকারি শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এক ব্যতিক্রমধর্মী দোল উৎসবের। যে উৎসবের সূচনা হয় লাঠিখেলার মাধ্যমে। এই অঞ্চলটিতে মূলত ইসলামধর্মাবলম্বীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতেও ইসলামধর্মের শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ। ধর্মগতভাবে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে দোল উৎসবে সক্রিয় অংশগ্রহণে কিছু বাধা থাকলেও বিদ্যালয়ের দোল উৎসবে তাদের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমতি রত্না সাহা বলেন- 'বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে ধর্ম, বর্ণের কোনো ভেদাভেদ লক্ষ্য করা যায়না-এই উৎসব যেন সম্প্রীতির মেলবন্ধন'।

[ads id="ads1"]


বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সঞ্জয়কুমার বৈদ্য, সহকারি শিক্ষিকা সৌমি ঘোষ, সোনালি সরকার, পপি ঘোষরাও এক বাক্যে স্বীকার করে নেন যে একজন শিক্ষক হিসেবে তারাও আনন্দিত যে বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি অভিভাবকরাও স্বত:স্ফূর্তভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে অনুষ্ঠানমঞ্চ যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।




অনুষ্ঠানে রঙিন আবীর মাখিয়ে এক অপরের আশীবার্দ, ভালবাসা ও সৌহার্দ্য কামনায় মগ্ন থাকার পাশাপাশি গীতি আলেখ্য, কবিতা আবৃত্তি, একক গান ও নাচের আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা সকলে বাসন্তী রঙের,লাল রঙের শাড়ি এবং শিক্ষকেরা হলুদ রঙের পাঞ্জাবিতে সজ্জিত হয়ে ছিলেন বলে বিদ্যালয় চত্ত্বরই যেন শিমুল পলাশ মহুয়ার রঙে আবৃত হয়ে উঠেছিল।


চড়ুইগাছি এফপি বিদ্যালয়ের দোল উৎসব


অনুষ্ঠানের শেষলগ্নের বক্তব্যে প্রধান শিক্ষিকা রত্না সাহা দোল উৎসবের ইতিহাস বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন-'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে সৌমিন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৭ সালে সরস্বতীপূজার দিন এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে তা দোল উৎসবে পরিণত হয়'। বক্তব্য শেষে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

[ads id="ads2"]

বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জানা গেল বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চড়ুইগাছি এফপি স্কুল নাম দিয়ে একটি ফেসবুক পেজ চালানো হয়। যে পেজের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনের এক্সট্রাকারিকুলাম একটিভিটি যেমন আপলোড করা হয় তেমনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাসও আপলোড করা হয়। ফলে উপকৃত হয় সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। বিষয়টি সম্পূর্ণ অভিনব।