২০২৪ এর জানুয়ারিতে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী !
আগামী মাসেই নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সরকারি কর্মচারীদের সাথে মিটিং করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন খবর সামনে আসবার পরই অনেকে মনে করছেন হয়তো সরকারী কর্মচারীদের জন্য কিছু ডিএ (Dearness Allowance) ঘোষণা হতে পারে। এই নিয়ে ব্যপক জল্পনা শুরু হয়েছে স্যোসাল মিডিয়া জুড়ে।
জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই সম্মেলন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে পশিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। তবে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনো কোন ঘোষণা হয়নি।
তবে জানাযাচ্ছে , এই কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে কর্মচারী সংগঠন প্রতিটি জেলায় সদস্য ফর্ম বিতরণ শুরু করে দিয়েছে। সূত্রের খবর জানুয়ারিতে যে সম্মেলনের কথা বলা হচ্ছে সেখানে প্রায় ২০ লক্ষ হাজার কর্মী উপস্থিত থাকবেন। এই নিয়ে প্রতিটি জেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব মূলক অংশগ্রহনের চিন্তাভাবনাও শুরু করে দিয়েছে সংগঠন।
তবে এই নিয়ে শিক্ষানুরগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন- “জানুয়ারি মাসে নিজেদের কর্মী সমাবেশে এক কিস্তি ডিএ ঘোষণার মিডিয়া প্রচারের প্রলোভন নয়, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।”
প্রসঙ্গত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কিছুদিন আগে বিধানসভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়। বাংলা একমাত্র রাজ্য যারা অবসরকালীন ভাতা দেয়। কারও রাজ্য সরকারের কাজে আপত্তি থাকলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে যোগ দিন। আমরা তো আটকে রাখিনি। আমরা ৪০-৪৫ দিন ছুটি দিই। কেন্দ্র তিন থেকে চার দিন ছুটি দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বেশি ছুটি দিই আমরা। এগুলো সব মাথায় রাখবেন। আমরা দশ বছরে একবার বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থাও করেছি।'
"বামেদের সময়কার ঋণ মেটাতে গিয়েই সব টাকা চলে যাচ্ছে। বামেদের জন্যই এই সমস্যা। ওদের দেনা শোধ করে যেতে হচ্ছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত পঞ্চম বেতন কমিশনকে গুরুত্ব দিয়ে ৯০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়েছি। ধাপে ধাপে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে গিয়ে ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি খরচ হয়েছে। ডিএ দেওয়া এখন সম্ভব নয়। মনে রাখবেন DA দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, কেবল অপশন মাত্র।"
এদিকে উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে এসে চা শ্রমিকের সাথে চা-পাতা তুলেছেন শুনেছেন সুখ-দুঃখের কথা। বানারহাট, দার্জিলিঙে সভা করেছেন আজ সভা করলে কাঞ্চনজঙ্ঘাতেও সভা করলেন তিনি। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদানের সভা থেকে বিলি করলেন পাট্টা। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) নিয়েও বললেন। রাজ্যের বকেয়া কেন্দ্র মেটাচ্ছে না সেকথাও বললেন তিনি। কালো টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ তুলেও মোদিকে নিশানা করেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊