ইন্ডিয়া নাকি ভারত, G-20 সামিটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী!
রাষ্ট্রপতি ভবনের নিমন্ত্রণপত্র থেকে অন্য দেশকে পাঠানো পুস্তিকা সবেতেই এখন 'ভারত'-এর ছোঁয়া। ইন্ডিয়া এখন এক অতীত! কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ এমনটাই মনে করাচ্ছে। ভারত নাকি ইন্ডিয়া, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সরকারি ভাবে দেশের নাম হিসেবে শুধুমাত্র 'ভারত' রাখার দাবিও উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যেই জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit) চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে দেশের নাম হিসেবে 'ভারত' লেখা ফলক চোখে পড়ল। আর যা থেকে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান স্পষ্ট হল।
জি২০ সামিটে মোদির নামের সামনে 'ভারত' লেখায় জল্পনা চড়ল আরও। তবে কি নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister of Bharat) সরকার দেশের নাম হিসাবে ইন্ডিয়া ব্যবহার বন্ধ করে দিতে চলেছে? কৌতূহল তৈরি হয়েছে। জি-২০’র মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে কি এরপর দেশের নামের জায়গায় ‘ভারত’ অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
আর নয় ইন্ডিয়া? এবার কি দেশের নাম শুধু 'ভারত'? সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির একটি আমন্ত্রণ পত্র সামনে আসার পরে এমন বিতর্ক দানা বাঁধে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর একটি আমন্ত্রণ পত্রেও একই বিতর্ক বেশি করে মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আমন্ত্রন পত্র গুলিতে 'প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া'-র পরিবর্তে 'প্রেসিডেন্ট অব ভারত' আবার 'প্রাইম মিনিস্টার অব ইন্ডিয়া'-র পরিবর্তে 'প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত'।
আসন্ন লোকসভায় বিজেপি শিবিরকে দেশের মসনদ থেকে সড়াতে বিরোধী জোট গঠিত হয়েছে যার নাম রাখা হয়েছে I.N.D.I.A. যাকে এক কথায় বলা হয় INDIA। বিরোধী জোটের নামের সাথে দেশের নামের মিল থাকায় বিরোধী জোটের I.N.D.I.A যাতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা না পায়, তার জন্যই এমন অবস্থান কিনা, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। এর মাঝেই প্রশ্ন উঠতেই শুরু করেছে, RSS-এর অ্যাজেন্ডা-ই কি বাস্তবায়িত করছে বিজেপি? কিছুদিন আগেই দেশের নাম ভারত করার পক্ষে কথা বলেছিলেন মোহন ভাগবত।
সব মিলে দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে যে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা অব্যাহত তো রইল জল্পনা আরও বেশি করে দানা বাঁধলো।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks