বিধায়কের অসহযোগিতায় হঠাৎ পদত্যাগ করলেন সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান

Suiri municipality chairman


কানাঘুষো জল্পনা চলছিল সেই জল্পনাকে সত্যি করে একত্রিশে জুলাই সোমবার সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন প্রনব কর । পাশাপাশি ছাড়লেন পনেরো নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদও । যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা । সিউড়ি পৌরসভা বর্তমানে তৃনমূলের দখলে আছে । 



সোমবার সিউড়ি সদর মহকুমাশাসক অনিন্দ্য সরকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রনব কর। পদত্যাগপত্রে প্রনব কর লেখেন, "আমি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসক ছয়মাস বেড রেস্টের পরামর্শ দিয়েছেন । সিউড়ি পৌরসভা চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে । সিউড়ী বিধায়ক তহবিল থেকে সাহায্য করা হয় না । বারবার বলা সত্ত্বেও সিউড়ির বিধায়ক অসহযোগিতা করছেন । এই অবস্থায় আমার পক্ষে চেয়ারম্যানের পদে থেকে পৌরসভা চালানো কষ্টকর হয়ে গিয়েছে ।" 



প্রনব কর বলেন, "পারিবারিক সমস্যা এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য পদত্যাগ করলাম । কাউন্সিলর পদ থেকেও পদত্যাগ করেছি । পদত্যাগ করার বিষয়ে দল আমাকে কোনো নির্দেশ দেয়নি । অন্য কোনো দলে যাবো না রাজনীতি ছেড়ে বাড়ীতে বসে যাবো সেটা পরের বিষয় । অনুব্রত মণ্ডল আমাকে চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন । আমার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম ।" 



বিজেপি জেলা সহসভাপতি দীপক দাস বলেন, "নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন না । ভয় দেখিয়ে পুলিশের সহায়তায় সিলেক্টেড হয়েছিলেন । পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছিলো ।" 



প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরসভার কাজকর্ম ঠিকঠাক হচ্ছে না এবং চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাউন্সিলরদের বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছিল সিউড়ি পৌরসভার তেরোজন তৃণমূল কাউন্সিলর । গত তিরিশে মে বিকালে সিউড়ি তৃণমূল কার্যালয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় এবং সিউড়ি বিধানসভাকেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল । 



যদিও সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন না সিউড়ি পৌরসভার নয়নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং তেরোনং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুন্দন দে । পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই ইস্যু । রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছে এই তেরোজন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর ।