সরকারী কর্মচারীদের পক্ষ থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ দাবী রাখা হয়েছে, দেখেনিন একনজরে
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে DA (Dearness Allowance) মামলার শুনানি চলাকালীন, মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীরা জোরদার সওয়াল করেন। প্রধান বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে চলা এই শুনানিতে আইনজীবীরা রাজ্যের বিরুদ্ধে বকেয়া DA না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন এবং এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেন।
বকেয়া ডিএ মেটাতে রাজ্যের অনিচ্ছা:
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম আদালতে বলেন যে, রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট সময় অন্তর DA দিতে চায় না এবং বকেয়া DA মেটানোর ক্ষেত্রে তাদের অনীহা স্পষ্ট। তিনি জানান, ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া Revised Pay and Allowances Rules, 2009 অনুযায়ী ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়ের বকেয়া DA সরকার দিতে অস্বীকার করে। আইনজীবীর সওয়াল, DA দেওয়াটা সরকারের policy-এর অংশ, যা ইচ্ছামতো বাতিল করা যায় না।
কিস্তিতে ডিএ মেটানোর প্রস্তাব:
মামলাকারীদের আরেক আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া সুপ্রিম কোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, রাজ্য যদি একবারে বকেয়া DA মেটাতে না পারে, তবে installments-এ তা পরিশোধ করা হোক। পাটোয়ালিয়া আরও বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু'বার DA দেয়, যেখানে রাজ্য সরকার প্রথমে বছরে দু'বার এবং পরে একবার করে DA দিত, কিন্তু এখন তা সম্পূর্ণ বন্ধ।
ডিএ বৈষম্য নিয়ে আদালতের প্রশ্ন:
শুনানির সময় বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র মামলাকারীদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কেন তাঁরা DA বৈষম্যের কথা বলছেন। জবাবে আইনজীবী জানান, পশ্চিমবঙ্গের কিছু কর্মচারী (যেমন দিল্লির বঙ্গভবন বা চেন্নাইয়ের ইউথ হোস্টেলে কর্মরত) কেন্দ্রীয় হারে DA পান, যা AICPI (All India Consumer Price Index) অনুযায়ী গণনা করা হয়। অথচ, একই rules-এর আওতায় থাকা পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত অন্য সরকারি কর্মচারীরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আইনজীবী বলেন, এই বৈষম্য সংবিধানের Article 14-এ বর্ণিত right to equality-এর লঙ্ঘন।
বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ডিএ দেওয়ার দাবি:
আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম আদালতের কাছে দাবি করেন যে, Pay Commission-এর সুপারিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অন্তর DA দেওয়া বাধ্যতামূলক। তিনি আরও বলেন, DA-র হিসাব AICPI-এর ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত, যা inflation-এর সূচক হিসেবে কাজ করে।
এই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবারও চলবে, যেখানে রাজ্য সরকার তাদের বক্তব্য পেশ করবে। সমস্ত পক্ষের সওয়াল শেষে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মচারীরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊