বেত শিল্পী শচিন্দ্র এবং সোনাই এর স্বপ্নের উড়ান তিল তিল করে পাড়ি দেয় আমেরিকায়


pati



ক্রমেই বিলুপ্তির পথে বেত শিল্প। তবুও তাকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণপন চেষ্টা জলপাইগুড়ির শচীন্দ্রের। এইভাবেই তাদের স্বপ্নের উড়ান তিল তিল করে পাড়ি দেয় আমেরিকায় (America) ৷ জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে একটি ছোটখাটো গৃহস্থ বাড়ি থেকেই দেশ- বিদেশের বিভিন্ন বড় শহরের সঙ্গে আমেরিকায় উড়ে যায় বেত শিল্পের নানান নিদর্শন।




বেত শিল্পী শচিন্দ্র নাথ দাস আর তার স্ত্রী সোনাই দুজনে মিলে নিজের বাড়ির কারখানাতেই সবার অলক্ষ্যে সারাদিন খেটে বেতের নানান জিনিস বানায়। ঘরে ব্যবহারযোগ্য প্রয়োজনীয় জিনিস বানানো হয়, স্ত্রী সোনাই বেত দিয়ে ফল রাখার ঝুড়ি, টেবিল ল্যাম্প, ডাইনিং টেবিলে রাখার জন্য বেতের ট্রে সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরির কাজ করেন। দুজনের এই শিল্প পৌঁছে যায় দেশ বিদেশের (America) নানা স্থানে।




এ বিষয়ে শচীন্দ্র বাবু বলেন, আগে খুব একটা চাহিদা ছিলো না। তবে এখন ভিন রাজ্য এবং বিদেশ থেকে অর্ডার আসছে, কিছুটা হলেও কাজের সাফল্য সামনে আসছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষ এইগুলো যেমন কিনছে তার সঙ্গে আমেরিকার (America) মতো দেশ থেকেও আসছে বেত দিয়ে তৈরি জিনিসের অর্ডার। আমি চাই এভাবেই বেচেঁ থাক আমাদের এই শিল্প, এই শিল্পের ভেতরে যে কত আনন্দ রয়েছে সেটা অনেকের কাছেই আজও অজানা।




ঘর সংসারের কাজ করেও স্বামীর বেত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সোনাই দাস বেতের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি প্রসঙ্গে বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গেই কাজ করি। স্বামী বেতের লাইট স্ট্যান্ড তৈরি করলে আমি সেটার মাথার ওপরের শেড তৈরী করে দি, এখন আমাদের তৈরি বেতের নানান জিনিস আমেরিকায় (America) পর্যন্ত যাচ্ছে। এতে খুবই খুশি।