এ্যাম্বুলেন্স দালাল আর কিছু নার্সিংহোমের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার বদনাম হচ্ছে, বিস্ফোরক অভিযোগ বিধায়কের
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-
এ্যাম্বুলেন্স দালাল আর কিছু নার্সিংহোমের জন্য বর্ধমানে স্বাস্থ্য পরিষেবার বদনাম হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাস। সোমবার বর্ধমানের ১৯নং জাতীয় সড়কে গোদা এলাকার বর্ধমান পুরসভার ২৬নং ওয়ার্ডে শরিফনগরে কবিগুরু মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করতে এসে একথা বলেন খোকন দাস।
এদিন এই হাসপাতালের উদ্বোধন করতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, বর্ধমানে প্রচুর নার্সিংহোম। বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া সহ ঝাড়খণ্ড থেকে রোগীরা আসে। বর্ধমানে এলে ভাল চিকিত্সা পাবেন – এই আশা নিয়ে তাঁরা আসেন। বহু নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য সাথীতেই কেবল চিকিত্সা করান। নগদে চিকিত্সাই হয় না। এখানে ভাল ভাল ডাক্তারবাবুরা আছেন। নতুন এই নার্সিংহোমও ঠিকমত পরিষেবা দেবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
খোকন দাস বলেন, অনেক সময় চিকিত্সার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।সেক্ষেত্রে অনেক সময় কঠিন অবস্থায় রোগীকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ফলে চিকিত্সার জন্য চেষ্টার পরেও রোগী মারা যায়। সেজন্য চিকিত্সা পরিষেবাকে দায়ী করা যায় না। কিন্তু অনেক নার্সিংহোম ঠিকমত পরিষেবাও দেয় না - এমন অভিযোগও সঠিক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেকে ভাড়া বাড়িকে নার্সিংহোম বানিয়ে দিয়েছে। কোনো পরিকাঠামো নেই। এ্যাম্বুলেন্স পার্টি রোগীকে ভর্তি করে দিয়ে পালিয়ে যায় নিজের কমিশন নিয়ে। বর্ধমানে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই দালালরা বাজে বাজে নার্সিংহোমে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। মোটা টাকা বিল করছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। দলের নেতাদেরও বলেছি ফালতু নার্সিংহোমে ভর্তি করবেন না। এজন্য বর্ধমানের বদনাম হচ্ছে। এজন্য মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিককে জানিয়েছি। জেলাশাসককে, পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি। ব্যবস্থা নিতে হবে। অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এই দালালরাজ। আর যাদের নার্সিংহোমের পরিকাঠামোই নেই তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। কে কি পরিষেবা দিচ্ছে তা জানার জন্য সব নার্সিংহোমকে ডেকে পাঠানোর জন্য জেলাশাসককে জানিয়েছি। স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে অনৈতিক কাজ করলে সেই নার্সিংহোম বন্ধ হবে। কয়েকটি বন্ধ হয়েছে। এরকম অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১০২ বেডের এই নতুন বেসরকারী হাসপাতালে সবরকমের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন, হাসপাতালের ডিরেক্টর বোর্ডের সদস্য আবুল হাসেম, আসানুল্লা হক মোল্লা, মফিজুর হক প্রমুখরা। ১১জন মিলিতভাবে এই হাসপাতাল তৈরী করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা কবিগুরুর নামে এই হাসপাতাল করা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কবিগুরু সকলের প্রিয়। তাই তাঁর নামেই এই হাসপাতালকে সকলের প্রিয় হিসাবে তাঁরা গড়ে তুলতে চান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊