গ্রেফতার জলপাইগুড়ি শহরের জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর




হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়তেই তড়িঘড়ি গ্রেফতার জলপাইগুড়ি শহরের জোড়া আত্মহত্যার  ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর।

এপ্রিল মাসের প্রথম দিন জলপাইগুড়ি সহ গোটা রাজ্য যে ঘটনা নিয়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলো সেই দুই সমাজ কর্মীর জোড়া আত্মহত্যার  ঘটনায় চাঞ্চল্য কর মোড়।

এই ঘটনার পর মৃত সুবোধ ভট্টাচার্য এর দিদি শিখা চ্যাটার্জি নিজের ভাই এবং ভাই বউকে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ করে পুলিসের কাছে মামলা দায়ের করে।

ভারতীয় দন্ড বিধির ৩০৬ ধারায় পুলিস সেই মামলা রুজু করলেও, এফ্ আই আরে নাম থাকা জলপাইগুড়ি জেলার যুব তৃনমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ পৌর সভার চোদ্দ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ এবং মৃত দুই সমাজ কর্মীর প্রতিবেশী মনোময় সরকার এদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি দীর্ঘ এক মাসের বেশী সময় পরেও।

উল্লেখ্য, এর পরেই অভিযোগকারি শিখা চ্যাটার্জি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহে সেই মামলা ওঠে জলপাইগুড়ি স্থিত কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চে।

মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির এই ঘটনায় করা পুলিসের তদন্তের অগ্রগতি না দেখতে পেয়ে তদন্তকারি পুলিশ অফিসারকে ভর্ৎসনা করে মামলার তদন্ত ভার সিবিআই এর হাতে তুলে দেবার মতো মন্তব্য করেন।

যদিও সরকার পক্ষের করা আবেদনে সারা দিয়ে মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ঘোষনা করেন।এরপরই মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের জোড়া আত্নহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য কর মোড় আসে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান জেলার ডি এস পি সদর সন্দীপ পাল।

অপরদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপি চক্রান্ত করে জেলায় তৃণমুল কংগ্রেস দলের মেরুদন্ড তথা পৌর সভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

জোড়া আত্নহত্যার ঘটনায় গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ডি এস পি সদর সন্দীপ পাল জানিয়েছেন, সন্দীপ ঘোষ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আজ আদালতে পেশ করা হচ্ছে।