যারা ডিএ নিয়ে চিৎকার করেছে, র্যালি করছে তাদের জন্য ৩৬ হাজার চাকরী চলে গেলো ! বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী। ৩৬০০০ চাকরি বাতিলে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিতে গিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন- যারা ডিএ নিয়ে চিৎকার করেছে, র্যালি করছে তাদের জন্য ৩৬ হাজার চাকরী চলে গেলো। মুখ্যমন্ত্রী বলেন- “এবারও ৩ শতাংশ ডিএ পেয়েছে ওরা। তারপরও রোজ লড়ছে। আর আজ ওদের জন্যই ৩৬ হাজার চাকরি গেল। এতগুলো পরিবার অসহায়। তাই আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাব।”
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রীর। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, 'যতদূর লড়াই করতে হয়, রাজ্য সরকার সেটা করবে।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ ডিপ্রেশনে ভুগবেন না, মানসিক শক্তি হারাবেন না, আমাদের সরকার আপনাদের পাশে আছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'পরিবারগুলো বারবার আমাকে আপিল করছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিভিশন বেঞ্চে আমরা যাব। যেটার ওপর ভিত্তি করে রায়টা সেটার বিরুদ্ধে আমাদের আইনজীবীরা বলবেন। তবে কেউ একটা দাবি করেছিল, ওঁরা ট্রেনিং নেয়নি কিন্তু তেমনটা নয়। ট্রেনিং ওঁরা নিয়েছে। ওঁদের একটা অর্ডার ছিল। চাকরিতে ঢোকার তিন বছরের মধ্যে এক বছরের ট্রেনিংটা নিতে হবে বলা ছিল অর্ডারে। যেটা ওঁদের সবার নেওয়া।"
তিনি আরও বলেন- আরও অনেক পয়েন্ট রয়েছে, তবে বিষয়টা যেহেতু আদালতে যাবে তাই এই নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আইনজীবীরা নির্দিষ্ট জায়গায় তা বলবেন।'
আজকে বাংলা মডেল হয়ে গেছে, অন্য স্টেটের লোক দেখতে আসছে, অথচ আমাদের কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এক অদ্ভূতকিমাকার অবস্থা । এমন ভাবেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এককথায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডিএ আন্দোলনকারীদের দিকে আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের আন্দোলনের জন্য রাজ্য নানান সমস্যায় পড়ছে সে কথাও বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন- “অফিস টাইমে কাজ বন্ধ করে মিছিল করা হচ্ছে। এটা সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না? রোজ কাজ না করার হুঙ্কার। সব জায়গায় কোঅর্ডিনেশন কমিটির লোকেরা বসে আছে। কিন্তু আমি সহানুভূতিশীল। আমি কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিনি। তার মানে কিন্তু আমি দুর্বল নই।”
0 মন্তব্যসমূহ
thanks