মাঝরাতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। ঘটনায় জখম আরোও তিনজনের চিকিৎসা চলছে

Road Accident



কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা- জামালদহ রাজ্য সড়কের উপরে পাইকারটারি এলাকায় যে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার।



স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর রাত ১২টার পরে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।



দুর্ঘটনার জেরে একই পরিবারের তিনজন সহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরোও তিনজন। আহতদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে।




মৃতরা হলেন বাসন্তী বর্মন, বয়স ৫০,মেনকা বর্মন, বয়স ৪০, অনিতা বর্মন,বয়স ৩৫ ও মনীষা বর্মন, বয়স ১৪। এদের মধ্যে মনীষা ও মেনকা সম্পর্কে মেয়ে ও মা। এছাড়া মৃত অনিতা মনীষার সম্পর্কে কাকিমা।




এদিকে, টোটো চালক প্রশান্ত বর্মন, নির্মলেন্দু বর্মন বয়স ৭ ও অভিজিৎ বর্মন বয়স ১১ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। নির্মলেন্দু জামালদহ সারদা শিশুতীর্থে প্রভাত শ্রেণীতে পড়ছে। অভিজিৎ বর্মন জামালদহ তুলসীদেবী হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

মৃত ও আহত প্রত্যেকের বাড়ি মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের ভোগরামগুড়ি গ্রামে। আহতদের প্রথমে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে জলপাইগুড়ির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।




জানা গিয়েছে, নামসংকীর্তনের আসর থেকে টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। আর মাত্র এক কিলোমিটার এগোলেই সকলেই বাড়ি ফিরতে পারতেন। কিন্তু রাস্তাতেই পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক টোটোর পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে টোটোটি উল্টে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। গাড়িটিও মূল রাস্তা থেকে সরে গিয়ে নিচে নেমে পড়ে। ঘটনার পর থেকেই ট্রাকের চালক পলাতক। পুলিশ ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে। এদিকে হোলির আগে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ভোগরামগুড়ি এলাকায়।