আতঙ্কে ভারত-বাংলাদেশের জনগন, আকাশে আগুনের গোলা ধেয়ে আসলো মাটির দিকে
১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ পঞ্চগড়, চিলাহাটি এবং আশেপাশের এলাকায় হঠাৎ করেই আকাশে আগুনের গোলার মতো একটি উজ্জ্বল বস্তু ছুটে যেতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বস্তুটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ভারতের দিকে ছুটে যায় এবং কয়েক সেকেন্ড পরেই একটি বিকট শব্দ শোনা যায়। এই দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রথমে ভেবেছিলেন এটি কোনো বিস্ফোরণ বা বিমান দুর্ঘটনা।
তবে প্রাথমিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এটি একটি উল্কাপাত। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘ফায়ারবল’। সাধারণ উল্কাপাতের তুলনায় ফায়ারবল অনেক বেশি উজ্জ্বল হয় এবং কখনও কখনও শব্দও তৈরি করে। ডিসেম্বর মাসে পৃথিবী প্রতিবছরই জেমিনিডস (Geminids) নামক উল্কাবৃষ্টির মধ্য দিয়ে যায়। এই উল্কাবৃষ্টি মূলত গ্রহাণু ৩২০০ ফায়েথন-এর ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয়। জেমিনিডস উল্কাবৃষ্টি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং প্রতি ঘণ্টায় শতাধিক উল্কা আকাশে ছুটে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পঞ্চগড়ে দেখা ঘটনাটি সম্ভবত জেমিনিডস উল্কাবৃষ্টিরই অংশ। এই উল্কাগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে প্রচণ্ড তাপ ও ঘর্ষণের কারণে জ্বলে ওঠে। বড় আকারের উল্কা হলে তা ফায়ারবলের মতো উজ্জ্বল আলোকরেখা তৈরি করে এবং কখনও কখনও বিস্ফোরণের মতো শব্দও শোনা যায়।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে এই দৃশ্য অনেকের মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক এবং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতিদিনই ছোট-বড় উল্কা প্রবেশ করে, তবে সবগুলো চোখে দেখা যায় না। বড় উল্কাগুলি দৃশ্যমান হয় এবং কখনও কখনও ফায়ারবলের মতো চমকপ্রদ দৃশ্য তৈরি করে।
তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, সীমান্তবর্তী জলপাইগুড়ি, মেখলিগঞ্জ থেকে ভারতের মাথাভাঙ্গা, ধূপগুড়ির আকাশেও দেখা গেছে এই আগুনের গোলা, যা মাটির দিকে ছুটে এসেছে। এই নিয়ে স্যোসাল মিডিয়া উত্তাল। অনেকেই ছবি, ভিডিও পোস্ট করছেন। তবে কোথায় পড়েছে এই উল্কাপিন্ড তাঁর সঠিক খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊