TET 2012 admit card : এবার পাওয়া গেল ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড
নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার অঙ্ক ৩৫০ কোটিতে পৌঁছেছে বলে আদালতে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্য , পুরুলিয়ার ছোটটিলা থেকে এই দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়।
প্রসঙ্গত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে, আদালতে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রিমান্ড লেটারে তাদের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া ৫ জনের কাছ থেকে টাকা ও অলঙ্কার বাবদ বাজেয়াপ্ত সম্পদ এবং যে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এক যোগে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইডির তদন্তেই ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ কোটির বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইডির অন্যতম আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আদালতে জানান, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এদিকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যা কার্যত সোনার খনি! ইডির তরফে আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করে জানানো হয়, এতে চাঞ্চল্যকর কয়েকটি নাম মিলেছে।
তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র ও ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারককে বলেন, একজন মোবাইলের দোকানদার থেকে রিসর্ট, রেস্তরাঁ ও বিপুল পরিমাণ জমির মালিক হন শান্তনু। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ডেরর্ডে ছবি শান্তনুর মোবাইলে ছিল। এগুলি কীভাবে তাঁরকাছে গেল, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊