Two enormous cracks in Earth's crust opened near the Turkish-Syrian border
প্রলয়ের চিহ্ন! তুরস্কে প্রবল ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে তৈরি হয়েছে দু’টি বিশাল ফাটল। আর তা নিয়েই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত 6 ফেব্রুয়ারির মারাত্মক ভূমিকম্পের পর থেকে মৃতের সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে প্রায় 24000 এরও বেশি।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ক্রমাগত উদ্ধারকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের সরকার ভূমিকম্পের ফলে হতাহতদের জন্য গরম খাবার, তাঁবু এবং প্রচুর কম্বল বিলি করলেও এখনো পর্যন্ত অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত ১০০ বছরের মধ্যে তুরস্কের এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে তুরস্কের সরকার সর্বতোভাবে সমাধান করার চেষ্টা করলেও সাধারণ মানুষের ৫ দিনের শোক এবং যন্ত্রনা ধীরে ধীরে ক্রোধে পরিণত হচ্ছে। 7.4 মাত্রার এই তীব্র ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
সূত্র মারফত জানা গেছে দেশের প্রায় ১২,১৪১টি বিল্ডিং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৯৩৯ সালে ঘটা ভূমিকম্পের পর এটিই একমাত্র সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প। গত সপ্তাহের পর রাষ্ট্রসংঘ সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার জন্য আরো 25 মিলিয়ন অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে এই ভূকম্প তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ভূপৃষ্ঠকে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে তৈরি হয়েছে ফাটল। ভাগ করা বড় ফাটলটি ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ, ছোটটি ১২৫ কিলোমিটার।
ভূপৃষ্ঠের এই ‘ফাটল’ দৃশ্যমান মহাকাশ থেকেও। দুই ফাটলের ছবি তুলেছে ইউরোপিয়ান আর্থ-অবজার্ভিং স্যাটেলাইট সেন্টিনেল-১।
স্যাটেলাইট ছবিতে উঠে আসা এই দুই ফাটল প্রথম চোখে পড়ে ব্রিটেনের সেন্টার ফর দ্য অবজারভেশন অ্যান্ড মডেলিং অপ আর্থকোয়েকস, ভলক্যানোস অ্যান্ড টেকটনিক্স (কমেট)-এর বিজ্ঞানীদের।
বিধ্বংসী ভূমিকম্পের আগে এবং পরে ইউরোপীয় পৃথিবী-পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট সেন্টিনেল-1 দ্বারা নেওয়া ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের কাছাকাছি অঞ্চলের ছবি তুলনা করে, ইউ.কে. সেন্টার ফর দ্য অবজারভেশন অ্যান্ড মডেলিং অফ ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি ও টেকটোনিক্স (COMET) এর গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন ফেটে যাওয়া দুটি ফাটলের দৈর্ঘ্য ভূমধ্যসাগরের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত থেকে উত্তর-পূর্ব 190 মাইল (300 কিলোমিটার) পর্যন্ত বিস্তৃত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊