নবান্নের নির্দেশ মানবে কর্মচারী মহল ! ডিএ আন্দোলনে সামিল কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়ন




২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারির রাজ্য সরকারী কর্মিদের কর্মবিরতি ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের দাবীকে সমর্থন জানিয়ে এবার এই রাজ্যের কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়ন ২১ ফেব্রুয়ারি Pen Down পালন করবে। 

কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়ন গুলির সমর্থন সার্বিকভাবে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের দাবি আদায়ের পথকে আরো প্রশস্ত করবে বলে আশাবাদী রাজ্যের সরকারী কর্মচারী মহল। 

প্রসঙ্গত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কিংকর অধিকারী বলেছেন- "আগামী দিনে আরো বড় আন্দোলনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। আপনারা আরো মনোবল বৃদ্ধি করে এগিয়ে আসুন সবাই।" 

ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সোমবার ও মঙ্গলবার কর্মবিরতি কর্মসূচি তখন রাজ্য সরকার সেই দুদিনের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিল। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে কর্মবিরতির যবনিকা টানতেই নবান্নের এই নির্দেশ।


নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ২০ ও ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার ও মঙ্গলবার সকল ছুটি বাতিল করা হল। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে যে এই দুদিন যারা কাজে আসবেন না তাঁদের চাকরিজীবন থেকে এইদিন বাদ যাবে মিলবে না স্যালারিও। এমনকি শোকজ করার কথাও জানানো হয়েছে।


রাজ্য বাজেটে ৩% ডিএ (Dearness Allowance) ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ৩ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance)-প্রাপ্তিতে খুশি নন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। আর তাই ২০, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দেয় ৩৮ টি কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির ডাক দেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আরও পড়ুনঃ Dearness Allowance : বকেয়া ডিএ আন্দোলনে নতুন মোড়, পাল্টা নোটিশ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের 






রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) ৩ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষনা দিয়েছেন। যা মার্চ থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু খুশি নন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয় ৩৫ শতাংশ। এখন মূল বেতনের ৩ শতাংশ হারে DA (Dearness Allowance) পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তার সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ, অর্থাৎ মূল বেতনের ৬ শতাংশ হারে DA পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ফলে কেন্দ্র রাজ্যের ডিএ-র পার্থক্য দাঁড়ালো ৩২ শতাংশ।




শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন - এই অগণতান্ত্রিক নির্দেশিকা শিক্ষক-কর্মচারীদের আরো বেশি ক্ষুব্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করবে। সমস্যার সমাধান না করে, আলোচনায় না বসে এই ধরনের অগণতান্ত্রিক নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা করছি।