Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Babita Sarkar : ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হলো ববিতা সরকারকে- বাদ যাবে শিক্ষকতার সুযোগ !

Babita Sarkar : ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হলো ববিতা সরকারকে- বাদ যাবে শিক্ষকতার সুযোগ ! 


Babita Sarkar



রাজ্যের শিক্ষা মহলে পরিচিত নাম ববিতা সরকার। মন্ত্রী কন্যার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করে নিজের শিক্ষকতার চাকরী পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হলো ববিতা সরকারকে।


প্রসঙ্গত মন্ত্রী কন্যার অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে ববিতা সরকার শিক্ষকতার চাকরী পেয়েছিলেন আদালতের রায়ে। কিন্তু সম্প্রতি র‌্যাঙ্কিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ববিতা সরকার। তাঁর আবেদনপত্র গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।


ববিতার দাবী কমিশনের ভুলে ২ নম্বর তিনি বেশি পেয়েছেন । নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই, আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে SSC'র ভূমিকা। আর ববিতার নম্বর-বিভ্রাট প্রকাশ্যে আসতেই, চাকরির দাবি তুলেছেন, মেধাতালিকায় পরবর্তী নাম থাকা, অনামিকা রায়। তাঁর এই দাবির পরই আদালতের দ্বারস্থ হলেন ববিতা।


সম্প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেছে এসএসসি(WBCSSC)। তাঁতে দেখা যাচ্ছে ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর হওয়ার কথা ৩১। যদিও পর্ষদের ভুলে তিনি পেয়ে গিয়েছেন ৩৩। SSC-র প্রকাশিত মেধাতালিকা অনুযায়ী, ববিতা মোট পেয়েছেন ৭৭ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৩৬। তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ এবং মৌখিকে তিনি পেয়েছেন ৮। অ্যাকাডেমিক স্কোরের প্রাপ্ত এই ৩৩ নম্বর নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।


ববিতার পরই র‍্যাংকে ২১ নম্বরে নাম রয়েছে শিলিগুড়ির আর এক শিক্ষক পদপ্রার্থী অনামিকার রায়ের। এবার চাকরির দাবিতে লড়তে নামবেন তিনি- এমনটাই জানা যাচ্ছে।


সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিতে গিয়ে অনামিকা জানিয়েছেন- ‘চাকরি নিয়ে লড়াই করেছেন ববিতা। ববিতা বা কমিশনের, যারই যাঁরই ভুল হোক, ২ নম্বর বেশি পেয়েছেন ববিতা। কিন্তু ভুল তো ভুলই। ওঁর ২ নম্বর কমলে আমি পরবর্তী ওয়েটিং লিস্টে এগিয়ে যাব। তাই আমাকেই চাকরি দেওয়া উচিত।'




এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, এই অভিযোগের কথা শুনেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আবেদনে ভুলভ্রান্তি ধরা পড়েছে। তবে, এই ঘটনাটি নিয়ে আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেব না। আদালত বললে বা লিখিত অভিযোগ হলেই আমরা তাঁর তথ্যাদি ফের মিলিয়ে দেখব।


অন্যদিকে, আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অবশ্য দাবি করেছেন, ‘ভুল তথ্য আদালতকে দেওয়া হয়ে থাকলে তার দায় এসএসসির। আমার মক্কেলের নয়। এনসিটিই-র গাইডলাইন অনুযায়ী, পাস ও অনার্সের নম্বর যোগ করে যুক্ত হবে। ববিতার সমস্ত ডুকমেন্ট অন্তত তিনবার পরীক্ষা করেছে এসএসসি। আদালতে তারাই ববিতার নম্বর জানিয়েছে।’


এখন দেখার আদালত আগামী দিন কি সিদ্ধান্ত জানান। ববিতা সরকার যে চাকরী করছেন তা থাকবে কি না থাকবে কিংবা অনামিকা রায় কি সুযোগ পাবেন এবার- সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের শিক্ষা মহল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code