এগারো বছরে ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ মেধা মানা হয়নি বিস্ফোরক শুভেন্দু

Subhendu Adhikary




অভীক মিত্র - 


"চোর ধরো জেল ভরো" কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে খয়রাশোল গোষ্ঠডাঙ্গাল মাঠে  জনসভা করে বিজেপি। সেই জনসভায়  উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । 



শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "যে পঁচাত্তর হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মী এগারোবছরে নিয়োগ হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে মেধা মানা হয়নি চাকরি বিক্রি করে আমাদের বেকারদের স্বপ্নভঙ্গ করে।" আরো বলেন, "সর্বজনীন ভাইপো রেজিস্টার্ড ভাইপো" বলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীকে কটাক্ষ করেন তিনি । 


বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, "বীরভূমে অধঃপতনের জন্য যিনি দায়ী তিনি আটবার সিবিআইকে ল্যাজে খেলিয়েছে শেষে সিবিআই সকালে কড়া নেড়ে কেষ্টকে কলকাতা নিয়ে যায় ।বগটুইয়ে ভাদু ও আনারুলের সৃষ্টিকর্তা অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকা কেষ্ট আর তার মাথা মমতা ব্যানার্জি । জেলার নেতারা আগে কেষ্টর কাছে টাকা পৌছাতো এখন রানাকে দেয় ।" 



তৃনমূল নেতাদের কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, "রানা তো এখনো আছে । বিকাশ তো এখানে আছে, কাঞ্চন অধিকারী তো এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে । পীযূষ পান্ডেও তো এখানে আছে । এই চোরেদের কুশিনামা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । পীযূষ পান্ডে বয়স পঁয়ষট্টি কংগ্রেস থেকে তৃনমূলে এসেছে টোল ট্যাকস চালায় । একাধিক বেসরকারি বিএড, আইটিআই,পিটিটিআই কলেজের মালিক ।" 



লাভপুর বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা, বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ি বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী, দুবরাজপুর পৌরসভার পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে । হুগলি লোকসভাকেন্দ্রের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক লক্ষন ঘোড়ুই,দুবরাজপুর বিধানসভাকেন্দ্রের বিধায়ক অনুপ সাহা,বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা,প্রাক্তন সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়,শ্যামাপদ মন্ডল সহ বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন ।