Cattle Smuggling Case: গরু পাচারকান্ডে অনুব্রত মন্ডলকে 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত
Cattle Smuggling Case:
গরু পাচারকান্ডে অনুব্রত মন্ডলকে ফের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। 4 দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের তাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আজ গরু পাচারকান্ডে অনুব্রত মন্ডলকে 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত।
বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দিয়েছেন।আগামী 7 ই সেপ্টেম্বর অনুব্রত মন্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে এদিন সিবিআই আদালতে একঘন্টা শুনানি পর্ব চলে।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মন্ডল এবং তার আত্মীয়দের সম্পত্তির নথির হিসাব করতে সিবিআইয়ের একটি দল বীরভূম জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রারের অফিসে পৌঁছেছে। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কর্মকর্তা বলেছিলেন, সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল মামলার অভিযানের সময় জব্দকৃত নথি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ডেপুটি রেজিস্ট্রারের অফিসে পৌঁছেছে। "আমরা মন্ডলের সম্পদের সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি নথি পেয়েছি, যার মধ্যে কিছু অন্যের নামে সম্পত্তি হস্তান্তরের সাথে সম্পর্কিত,"
গবাদি পশু পাচারের অর্থ থেকে এই সম্পত্তি কেনা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সিবিআই এখনও তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। বুধবার মন্ডলকে আদালতে তোলা হবে বলে জানান তিনি।
অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তাঁর কোনো বেনামি সম্পত্তি নেই। শুধু তাই নয়, তদন্তে সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতাও করছেন তিনি। শনিবার অনুব্রতকে সিবিআই-এর নিজাম প্যালেস সদর দফতর থেকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তিনি এ দাবি করেন। এর আগে শুক্রবার বোলপুরে অনুব্রতের ভোলে বম রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই। এখানে পাঁচটি দামি গাড়ি পেয়েছে দলটি। এর মধ্যে একটি গাড়িতে বাংলা সরকারের একটি স্টিকার রয়েছে। সিবিআই দল সব গাড়ি সঙ্গে নিয়ে যায়।
রাইস মিলের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেছে সিবিআই। এই রাইস মিলটিতে অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রীর ৫০ শতাংশ এবং মেয়ে সুকন্যার ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিবিআই দল রাইস মিলে অভিযান চালাতে পৌঁছলে দরজায় তালা দেওয়া হয় এবং দলটিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এর পরে সিবিআই দরজা ভাঙার হুমকি দেয়, পরে তা খুলে দেওয়া হয়। অনুব্রত 2011 সালের পর হারাধন মণ্ডলের কাছ থেকে এই রাইস মিলটি কিনেছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks