Cattle Smuggling Case: অনুব্রত মন্ডল কান্ডে নয়া মোড়- সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি

Cattle Smuggling Case: জামিন না দিলে বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি




Cattle Smuggling Case: অনুব্রত মন্ডল (anubrata mandal) কান্ডে নয়া মোড়। এবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি। হুমকি চিঠি দিলেন বাপ্পা চ্যাটার্জি নামে একজন। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে অনুব্রত মন্ডলকে জামিন না দিলে বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।এই বিষয়টি হাইকোর্টে জানিয়েছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

আসানসোল এসপিএল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর দাবি, গরু পাচার কান্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল মামলায় তিনি হুমকি পেয়েছেন। বিচারপতি চক্রবর্তী বলেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে জামিন চেয়ে হুমকিমূলক চিঠি পেয়েছেন তিনি। এতে বলা হয়েছে, অনুব্রতকে জামিন না দিলে তার পরিবারকে মাদক মামলায় জড়ানো হবে। পশু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই মামলায় গতকাল সিবিআই দফতরেও তাঁকে জেরা করা হয়েছে।

আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন আসানসোল আদালতের আইনজীবী অমিতাভ মুখার্জি। বুধবার তিনি এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।এই ঘটনা অনিভিপ্রেত। বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। তাই যদি এই ঘটনা সত্যি হয় তাহলে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।


মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মন্ডল এবং তার আত্মীয়দের সম্পত্তির নথির হিসাব করতে সিবিআইয়ের একটি দল বীরভূম জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রারের অফিসে পৌঁছেছে। ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

কর্মকর্তা বলেছিলেন, সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল মামলার অভিযানের সময় জব্দকৃত নথি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ডেপুটি রেজিস্ট্রারের অফিসে পৌঁছেছে। "আমরা মন্ডলের সম্পদের সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি নথি পেয়েছি, যার মধ্যে কিছু অন্যের নামে সম্পত্তি হস্তান্তরের সাথে সম্পর্কিত,"

গবাদি পশু পাচারের অর্থ থেকে এই সম্পত্তি কেনা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। সিবিআই এখনও তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। বুধবার মন্ডলকে আদালতে তোলা হবে বলে জানান তিনি।

অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তাঁর কোনো বেনামি সম্পত্তি নেই। শুধু তাই নয়, তদন্তে সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতাও করছেন তিনি। শনিবার অনুব্রতকে সিবিআই-এর নিজাম প্যালেস সদর দফতর থেকে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তিনি এ দাবি করেন। এর আগে শুক্রবার বোলপুরে অনুব্রতের ভোলে বম রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই। এখানে পাঁচটি দামি গাড়ি পেয়েছে দলটি। এর মধ্যে একটি গাড়িতে বাংলা সরকারের একটি স্টিকার রয়েছে। সিবিআই দল সব গাড়ি সঙ্গে নিয়ে যায়।




রাইস মিলের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার করেছে সিবিআই। এই রাইস মিলটিতে অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রীর ৫০ শতাংশ এবং মেয়ে সুকন্যার ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিবিআই দল রাইস মিলে অভিযান চালাতে পৌঁছলে দরজায় তালা দেওয়া হয় এবং দলটিকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এর পরে সিবিআই দরজা ভাঙার হুমকি দেয়, পরে তা খুলে দেওয়া হয়। অনুব্রত 2011 সালের পর হারাধন মণ্ডলের কাছ থেকে এই রাইস মিলটি কিনেছিলেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ