Floating Stone: ময়নাপুরীর ঈশান নদীতে রাম নামে লেখা একটি পাথর ভেসে উঠে, যা দেখে গ্রামবাসীরা বিস্মিত
বিশ্বাস করা হয় যে ত্রেতাযুগে ভগবান শ্রী রাম লঙ্কায় যাওয়ার জন্য সমুদ্রের উপর একটি পাথরের সেতু তৈরি করেছিলেন। সেতুর প্রতিটি পাথরে রামের নাম লেখা ছিল, যা সমুদ্রে ভাসতে থাকে। এবার ময়নপুরীর ঈশান নদীতেও একই রকম পাথরের সন্ধান পেয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি, রামের নাম লেখা এই পাথরটি নদীতে ভাসছিল, তখনই রাখালরা তা দেখতে পান। এক রাখাল নদীতে নেমে পাথরটা বের করে আনে। এই পাথরে রামের নাম লেখা দেখে গ্রামবাসীরা অবাক।
কুসমারা এলাকার আহমালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে ঈশান নদীতে জলে ভাসমান একটি পাথর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, শনিবার কয়েকজন রাখাল নদীতে তাদের গবাদি পশুকে স্নান করাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি নদীতে একটি পাথর ভাসতে দেখেন। রাখালরা পাথরটি বের করে গ্রামে নিয়ে আসে এবং গ্রাম প্রধানকে খবর দেয়।
ভাসমান পাথরটি হাতে নিয়েছিলেন আহমালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামপ্রধান নীতিন পান্ডে। তিনি টবে জল ভরে পাথরটি সেখানে দিলে তা ভাসতে থাকে। গ্রামবাসীরা তা দেখে অবাক। বিষয়টি জানা জানি হতেই পাথরটি দেখতে ভীর জমান আশেপাশের মানুষজন ।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানান, কুশমারা রামলীলায় অবস্থিত হনুমান মন্দিরে কুণ্ডি তৈরি করে এই অপূর্ব পাথরটি তিনি রাখবেন, যেখানে পূজা হবে।
প্রসঙ্গত 2021 সালের জুন মাসে আগ্রার যমুনা নদীতে একই রকম একটি পাথর পাওয়া গিয়েছিল। তবে জলে পাথর ভেসে যাওয়ার পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ।
বিজ্ঞানের মতে, এই ধরনের পাথরের অভ্যন্তরীণ গঠন খুব একটা শক্ত না হলেও ভেতর থাকে একটা স্পঞ্জের মতো, যার মাঝে বাতাসের থলি তৈরি হয়, যার কারণে এই পাথরগুলো ওজনে ভারী হওয়া সত্ত্বেও ঘনত্বে হালকা হয়। এ কারণে তারা জলে ভাসে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊