৩জন বন্দিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ সংশোধনাগার কর্মীর বিরুদ্ধে

Jail



সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান সদর :- 



বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নারকোটিক্স কেসে বন্দি থাকা ৩জন অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল সংশোধনাগারের নিরাপত্তারক্ষী এবং অপর এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 




আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে নারকোটিক্স কেসে বর্ধমানের সরাইটিকর এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ হালিম, সেখ রুবেল এবং সেখ সালামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তারা জেলে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে হাজির হবার দিন ছিল। এদিন এই আসামীপক্ষের আইনজীবী কমল তা জানিয়েছেন, এদিন আসামীরা জানিয়েছেন, সংশোধনগারের ভেতর তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। এব্যাপারে এদিন তৃতীয় এডিশনাল ডিষ্ট্রিক্ট এণ্ড সেশন জজ বিশ্বরূপ শেঠের কাছে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। 



একইসঙ্গে বিচারকের নির্দেশে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এরপরই তাঁর মক্কেলদের ভাল চিকিত্সা করানোর পাশাপাশি জেল সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কমলবাবু জানিয়েছেন, একটি সংশোধনগারের মধ্যে এই পাশবিক ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংশোধনাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে এভাবে অভিযুক্তদের মার খাবার ঘটনায় তিনি বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিচারক এদিন অভিযুক্তদের আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন বলে জানিয়েছেন কমলবাবু। 




অন্যদিকে, সিনিয়র পাবলিক প্রসিকিউটর কমলকৃষ্ণ তা জানিয়েছেন, সংশোধনগারের এক কয়েদীকে এই তিনজন বেধড়ক মারধর করে বলে জানা গেছে। দুপক্ষের মধ‌্যে এই ঝামেলা ঠেকাতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা হস্তক্ষেপ করে। সম্ভবত এই তিনজনকে মেরে সেখান থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টিতে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অপরদিকে, এদিন এই অভিযুক্ত মহম্মদ হালিমের ভাই সেখ রাহুল জানিয়েছেন, আকরাম সেখ নামে এক কয়েদিকে দিয়ে তাঁর দাদা সহ মোট ৩জনকে মারধর করা হয়েছে।