পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমিতে নেপোটিজমের অভিযোগ ! পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান সাহিত্যিকের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কে অনন্য সম্মানে ভূষিত করছে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি (West Bengal Bangla Academy)। নিরলস সাহিত্য চর্চার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত করাবার পরই একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্যোসাল মিডিয়া জুরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ইতিমধ্যে ফেসবুক পোস্ট করে শতরূপ উল্লেখ করেছেন, লোকসংস্কৃতি গবেষক ও সাহিত্যিক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরিয়ে দিলেন ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি থেকে পাওয়া “অন্নদাশঙ্কর রায় স্মারক সম্মান”। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ করেছেন পোর্টব্লেয়ারের অনাদি রঞ্জন বিশ্বাস। তিনি নেপোটিজমের অভিযোগ এনেছেন অ্যাকাডেমির ওপর।
রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা চিঠির বয়ান যা স্যোসাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে-
প্রতি
অধ্যক্ষ
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি
কলকাতা
বিষয় : সম্মান প্রত্যাখান
মহাশয়,
আমি রত্না রশীদ ব্যানার্জী ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির তরফ থেকে অন্নদা শঙ্কর রায় স্মারক সম্মানে ভূষিত হয়েছিলাম। আমি তখন সেই সম্মান সকৃতজ্ঞ চিত্তে গ্রহণ করি। গতকাল সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে আমি অবহিত হলাম যে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি একটি নতুন পুরস্কার ঘোষনা করে প্রারম্ভিক বছরের সেই পুরস্কার পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্পণ করেছে বাংলা সাহিত্যে তাঁর নিরলস সাধনার স্বীকৃতি হিসেবে। এই অভিধার চেয়ে বড় সত্যের অপলাপ হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি শুধুমাত্র একটি ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে তাই নয়, এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের সত্যিকারের নিরলস চর্চায় রত সমস্ত মানুষকে অপমানিত করেছে।
এই অবস্থায় ২০১৯ সালে এই সরকারের আমাকে দেওয়া সম্মান আমার কাছে কাঁটার মুকুটের মত প্রতীয়মান হচ্ছে। আমি এই চিঠির মাধ্যমে ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই আমাকে দেওয়া অন্নদা শঙ্কর স্মারক সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছি। ওই সম্মানের সঙ্গে দেওয়া স্মারক আমি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির ঠিকানায় অনতিবিলম্বে পাঠিয়ে দেবো।
ইতি
রত্না রশীদ ব্যানার্জী
বর্ধমান
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতা 'বিতান' বইটির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। সোমবার ২৫ বৈশাখের দিন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আয়োজিত রবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর নাম এই পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, তিনি নিজে হাতে এই পুরস্কার গ্রহণ করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ''সমাজের অন্য ক্ষেত্রে অবদানের পাশাপাশি যারা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন, তাঁদের বাংলা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে। প্রারম্ভিক বর্ষে বাংলার সমস্ত সাহিত্যিকদের মতামত নিয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থকে মাথায় রেথে সামগ্রিকভাবে সাহিত্যচর্চার জন্য এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে। কিন্তু, মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও এদিন নিজ হাতে পুরস্কার গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর ঘোষণা মাঝপথে থামিয়ে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।''
Good information
উত্তরমুছুনNepotism e চলছে
উত্তরমুছুনgood
উত্তরমুছুনHelpful 🙂
উত্তরমুছুন🧐🧐🧐
উত্তরমুছুনএর হাসির খবর আর কি হতে পারে ।
উত্তরমুছুন"গরু ডাকে হাম্বা"
উত্তরমুছুনSotti ata aktu aladarokom hoye gelo...jara nirolos chesta chaliye ja66e tara bonchito hbe arokom cholle
উত্তরমুছুনJai ho..
উত্তরমুছুন