রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ 





রঞ্জিত ,ঘোষ,বাঁকুড়া

রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে জনতা পুলিশ তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার শহরের মাচানতলায়। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি হয়। ইট পড়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের গাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিছিলের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেলও। জনতার ছোঁড়া ইটের আঘাতে দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রাত ন'টা পর্যন্ত মোট ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।




রামনবমী উপলক্ষে রবিবার বিকালে বাঁকুড়ার পাঁচবাগা থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। আগে থেকেই মিছিলের উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে মিছিলের রুট ঠিক করে পুলিশ ও প্রশাসন। মাচানতলায় থাকা মসজিদের পাশ দিয়ে মিছিল গেলে অশান্তি হতে পারে সেই আশঙ্কায় আগে থেকেই মাচানতলা এলাকার দুদিকে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিশ। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনীও । নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুটা পরে মিছিল শুরু করে মিছিল আসে মাচানতলা পেট্রল পাম্প মোড়ে। পুর্ব নির্ধারিত রুট ছেড়ে মিছিলের একাংশ জোর করে মসজিদের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে প্রথমে বচসা বাধে মিছিলকারীদের। এই সময় আচমকাই মিছিলের পিছন থেকে পুলিশকে লক্ষ করে উড়ে আসতে শুরু করে ইট পাটকেল। প্রাথমিক ভাবে বুঝিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ক্রমশই তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। এরপরই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় টিয়ার সেলও। এরপরই জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 



পুলিশের দাবি এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনো পর্যন্ত মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দাবি মিছিল ভন্ডুল করতে শাসক দলের লোকজন মিছিলে ঢুকে ঢিল ছুঁড়েছে। এছারাও তার গাড়ি এবং তার পাইলট কার ভাঙার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সেখানে আগে থেকেই লোক ঢোকানো ছিল এবং যে ইট পড়েছে তা রাস্তার ইট নয়, এই রাম নবমীর মিছিলকে বাঞ্চাল করার জন্য এই পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদেশ্য প্রানোদিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অবিলম্বে তিনি দোষীদের গ্রেফতারেরও নির্দেশ দেন । তৃনমূলের দাবি এই ঘটনার সাথে তৃনমূল কোনোভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।