ভোরের আলো ফুটতেই কালবৈশাখীর ধ্বংস যজ্ঞের ছবি সামনে এলো

কালবৈশাখী





গতকাল রাত্রী ৮ টা নাগাদ মিনিট কুড়ির কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত হয় কোচবিহারের একাধিক এলাকা । কোচবিহার ১ ব্লকের মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছোট আঠারোকোটার জাহাঙ্গীর আলম (বয়স ১৯) ঘূর্ণিঝড়ে ছিটকে আসা টিনের আঘাতে জখম হয়ে মারা যায়। অপর আর একজন শুটকাবাড়ি এলায় শিলাবৃষ্টিতে বরফ শীলা পড়ে মারা যায়। গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় আরও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানাগিয়েছে।

কালবৈশাখী


গতকাল রাতেই কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে আহত রোগীদের ভর্তি করা হয়।


গতকালকের কালবৈশাখীতে কোচবিহার ১ ব্লকের শুটকাবাড়ি এলাকার শিমুলতলা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সেই সাথে মোয়ামারি, শুটকাবাড়ি, ভেটাগুড়ি, নাজিরহাট, সাহেবগঞ্জ সহ কোচবিহার জেলার একাধিক স্থানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে কালবৈশাখী ঘুর্ণিঝড়। ভোর হতেই সেই ধ্বংসযজ্ঞের ছবি সামনে আসছে।

কালবৈশাখী


অপরদিকে বিগত প্রায় ১৫ দিন থেকে অকাল বর্ষায় যখন কোচবিহারের কৃষকরা নাজেহাল সেই সময় গতকাল কালবৈশাখীর সাথে শিলাবৃষ্টিতে ভুট্টা, পাট, ধানের ফসল পুরোপুরি ধংস। এমতাবস্থায় অসহায় কৃষকরা এখন সরকারী সহযোগিতার আশায় বুক বেঁধে আছে। অনেক কৃশকই কৃষি ঋণ নিয়ে পাট, ভুট্টা, ধান প্রভৃতি চাষ করেছিলো। কিন্তু সমস্ত ফসলই ধ্বংস প্রায়।