T20 WC Aus vs Pak: পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া 





প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টসে জিতে অজি দলনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ প্রত্যাশা মতোই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তানকে।




পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করতে নামেন বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ বলে ৩৯ রান করে ৯.৬ ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন বাবর আজম। ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মহম্মদ রিজওয়ান। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে ৬৭ রান করে ১৭.২ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়েন মহম্মদ রিজওয়ান।খাতা খোলার আগেই ১৮.১ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়েন আসিফ আলি। ২ বলে ১ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন শোয়েব মালিক। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফখর জামান।পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান তোলে। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর জামান। ১ বলে ১ রান করে নট-আউট থাকেন মহম্মদ হাফিজ।



অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেন করতে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় বলে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হন অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়া ১ রানে ১ উইকেট হারায়। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ২৮ রান করে ৬.২ ওভারে শাদব খানের বলে আসিফ আলির হাতে ধরা পড়েন মিচেল মার্শ।১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ৫ রান করেন স্মিথ। শাদব খানের বলে ফখর জামানের হাতে ধরা পড়েন স্টিভ স্মিথ।নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ৪৯ রান করে শাদব খানের বলে মহম্মদ রিজওয়ানের দস্তানায় ধরা পড়ে ক্রিজ ছাড়েন ওয়ার্নার। ১০ বলে ৭ রান করে শাদব খানের চতুর্থ শিকার হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৩৭ রান। হাসান আলির ওভারে ১৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ২২ রান দরকার অজিদের।শাহিদ আফ্রিদির ১৯তম ওভারেই ২২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ওভারের শেষ ৩টি বলে পরপর ৩টি ছক্কা মারেন ম্যাথিউ ওয়েড।মার্কাস স্টইনিস ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাথিউ ওয়েড ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৪১ রান করে নট-আউট থেকে যান।



২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৪১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ম্যাথিউ ওয়েড। জিততে ব্যর্থ হলেও ৪টি উইকেট নেন শাদব খান।  শেষমেশ সেমিফাইনালের মুখোমুখি লড়াইয়ে বাবর আজমদের টেক্কা দেন অ্যারন ফিঞ্চরা। উঠে গেল ফাইনালে। ফাইনালে মুখোমুখি হবে নিউজিলান্ডের বিরুদ্ধে।