National Education Day: আজ জাতীয় শিক্ষা দিবস, কেন পালন করা হয় জানুন ইতিহাস





ভারতে প্রতি বছর জাতীয় শিক্ষা দিবস উদযাপিত হয় ১১ই নভেম্বর। মওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর মন্ত্রিসভায় প্রথম শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত মওলানা আবুল কালাম আজাদ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।



২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক শিক্ষাক্ষেত্রে মওলানা আবুল কালাম আজাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁর জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এই দিনটিকে ২০০৮ সালের ১১ ই নভেম্বর থেকে, প্রতিবছর ছুটি ঘোষণা না করে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসাবে পালিত হয়।





প্রতি বছর দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, কর্মশালা ও ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।স্কুলে স্কুলে প্রতিবছর ১১ই নভেম্বর বিভিন্ন আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল সেমিনার, সিম্পোজিয়া, প্রবন্ধ-রচনা, সমাবেশ ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সাক্ষরতার গুরুত্ব এবং শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে জাতির প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কথা বলতে একত্রিত হন।



১১ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল যে দিনটিকে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মন্ত্রণালয় ভারতে শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে স্মরণ করে ভারতের এই মহান পুত্রের জন্মদিনকে স্মরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১১ই নভেম্বর ছুটি ঘোষণা না করে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হবে।”



দেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বাড়াতে জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হয়। দিনটি স্বাধীন ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপনে আজাদের অবদানকেও স্মরণ করে।



জাতীয় শিক্ষা দিবসটি স্বাধীন ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে মওলানা আবদুল আজাদের যে দুর্দান্ত অবদান রেখেছিল তার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।