Latest Bengali News চরম সংকটে যৌনকর্মীরা - পূজার আবহেও মুখ ভার

চরম সংকটে যৌনকর্মীরা - পূজার আবহেও (durga puja 2021) মুখ ভার 

sex worker



সামনেই পূজা-তবু আনন্দের উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে না যৌনকর্মীদের (sex worker)। চরম আর্থিক সংকটে যৌনকর্মীরা (sex worker)। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়।


লকডাউনের প্রথম দিকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও আস্তে আস্তে তা কমতে থাকে বলে জানিয়েছেন সোনাগাছির ববিতা। কলকাতা থেকে দিল্লী সর্বত্রই একই অবস্থা। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র দিল্লির জি বি রোডেই প্রায় পাঁচ হাজার যৌনকর্মী কাজ করেন। তার মধ্যে একটা বড় অংশ বাইরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। জি বি রোডের যৌনপল্লিতে এসে কাজ করে ফিরে যান নিজেদের বাড়ি। যৌনপল্লির কুঠিতে থাকেন হাজার দেড়েক কর্মী। তাঁদের পরিস্থিতিও একই রকম। হাতে টাকা নেই, হেঁসেলে খাবার নেই, নেই খরিদ্দার।


দীর্ঘ দিন ধরে দিল্লির যৌন কর্মীদের (sex worker) নিয়ে কাজ করছে 'কাট কথা' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার কর্মী অনুরাগ এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যৌনকর্মীদের ত্রাণে সাহায্য করার জন্য। অনেকেই সাহায্য করেছেন। প্রায় ৮০০ যৌনকর্মীর কাছে আমরা ত্রাণ পৌঁছে দিতে পেরেছি। কিন্তু একই সঙ্গে স্বীকার করছি, যা দিতে পেরেছি, তাতে খুব বেশি দিন তাঁদের চলবে না। এরপরে কী হবে জানি না।’’


এশিয়ার সব চেয়ে বড় এবং ঐতিহাসিক যৌনপল্লি কলকাতার সোনাগাছি। সেখানে প্রায় ১১ হাজার কর্মী প্রতিদিন কাজ করেন। দিনে প্রায় ২১ হাজার মানুষ সেখানে যান। সোনাগাছির যৌনকর্মীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে দুর্বার নামে একটি সংগঠন। এই এনজিও-র অন্যতম আধিকারিক মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায় এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ''শুধু সোনাগাছি নয়, পশ্চিমবঙ্গের কয়েক হাজার যৌনকর্মীর পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। মহাশ্বেতার আশঙ্কা, ''লকডাউন উঠে গেলেও আগামী অন্তত এক মাস যৌনকর্মীরা কাজ করতে পারবেন না। করোনা সম্পূর্ণ নির্মুল না হলে তাঁদের পক্ষে কাজ করা কঠিন। একবার যদি যৌনপল্লিতে ভাইরাস ঢুকে পড়ে, সংক্রমণ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়বে। ফলে সাময়িক ত্রাণ নয়, যৌনকর্মীদের প্রয়োজন বেঁচে থাকার প্যাকেজ।''


তবে মহাশ্বেতা একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ''পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন এবং পুলিশ শুধু সোনাগাছিতে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের যৌনপল্লিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে সাহায্য করছে রামকৃষ্ণ মিশন। যৌনকর্মীদের কাছে খাবার ছাড়াও স্যানিটাইজার এবং সাবান পৌঁছে দিচ্ছে তারা।''

source credit: dw 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ