UPSC প্রশ্নপত্রে 'পশ্চিমবঙ্গে ভোট-সন্ত্রাস' প্রশ্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তোপ দাগলেন মমতা





UPSC প্রশ্নপত্রে 'পশ্চিমবঙ্গে ভোট-সন্ত্রাস' প্রশ্ন নিয়ে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশ্ন। বিজেপি যা বলবে তা করতে হবে। কোনও প্রার্থী আদালতে গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আমি প্রশ্নগুলি দেখে বিস্মিত হয়েছি। মাটি থেকে আকাশ- প্রতিটা প্রকল্পে ওদের নাম। জোর করে সংবিধানকে ধ্বংস করবেন? ধ্বংস করবেন গণতন্ত্রকে? শীতলকুচিতে মেরেছে আধা সামরিক বাহিনী। ভোটের সময়ের ঘটনা। ভোটের প্র তেমন কোন ঘটনা হয়নি। বিজেপি পার্টি মেম্বারদের মতো আচরণ করেছে। ত্রিপুরায় কী হল? চোখে কি ছুপা রুস্তম হয়ে গেল? ত্রিপুরা, অসম, উত্তরপ্রদেশে কেউ যেতে পারে না। ভোটের আগে আধা সামরিক বাহিনী গুলি করেছিল। ভোট পরবর্তী কিছু হয়নি। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট দিয়েছিল যাঁরা, তাঁরা কে ছিল? দেখে নিন। এর জন্য ওদের দাম দিতে হবে। ভুলে যাবেন আজ ক্ষমতায় আছেন, আগামিকাল থাকবেন না। চেয়ার কখনও কারও স্থায়ী হয়না। আপনি দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করতে পারবেন না। কোভিড শংসাপত্র ছবি দিচ্ছেন। আমি পছন্দ করি না। অথচ আমাকে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে।



প্রসঙ্গত, Union Public Service Commission-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট পদের পরীক্ষায় বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রশ্ন। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট পদের পরীক্ষায় বাংলার ‘ভোট-সন্ত্রাস’ নিয়ে ২০০ শব্দের রিপোর্ট লিখতে বলা হয়েছে। আর যা নিয়ে চলছে এখন জোর চর্চা।


সর্বভারতীয় পরীক্ষায় এই ধরনের বিষয় নিয়ে লিখতে দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রশাসনিক পদে বসানোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।


এদিকে, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্ক। রচনাধর্মী প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, "ভারতে রাজনীতিই লাভজনক পারিবারিক ব্যবসা।" এর পাশাপাশি, "দিল্লিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্কট"-এর প্রসঙ্গেও রিপোর্ট লিখতে বলা হয়।


সর্ব ভারতীয় পরীক্ষায় একের পর এক রাজনৈতিক প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এতে আপত্তির কিছু দেখছেন না কেউ কেউ। ইউপিএসসি-র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একের পর রাজনৈতিক বিষয়। যা ঘিরে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল।