২১শে জুন থেকে ১৮+ সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আপাতত অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল হয়ে ওঠে দেশ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলা সহ একাধিক রাজ্য কড়া বিধি নিষেধ ও লক ডাউন জারির পথেই হেঁটেছে। মনে করা হচ্ছে কার্যত লক ডাউন সংক্রমণ রাশ টানতে সহায়তা করেছে। যদিও, অর্থনীতির কথা ভেবে লক ডাউনের ব্যাপারে রাজ্যের ওপরেই ছেড়েছিল কেন্দ্র। দীর্ঘ সময় ধরে দাপিয়ে বেড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই পরিস্থিতিতে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, করোনায় অনেকে নিজের পরিজনদের হারিয়েছেন।  সেই পরিবারকে সমবেদনা জানাই।  গত ১০০ বছরে করোনা সবচেয়ে বড় মহামারী। তিনি বলেছেন,  আধুনিক বিশ্বে এরকম মহামারী কেউ দেখেনি। দেশ একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে।কোভিড হাসপাতাল থেকে টেস্টিং ল্যাব তৈরি হয়েছে।  নতুন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে।’


যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছে কেন্দ্র বলেই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন আমাদের সুরক্ষা কবচ।  সারা বিশ্বে যতটা পরিমাণ ভ্যাকসিন দরকার, ‘তুলনায় অনেক কম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা।  আগে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন বহু সময় লেগে যেত।আগে পোলিও, স্মল পক্স, হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন পেতে বহু দেরী হয়েছে। ভারতে আগে ভ্যাকসিনেশন হত মাত্র ৬০ শতাংশের। ১০০ শতাংশ টিকাকরণে ৪০ বছর লেগে যায়।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,  সদিচ্ছা সঠিক ছিল, তাই এক বছরের মধ্যে ভারতে দুটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে।  বিশ্বে অন্যান্য দেশের থেকে পিছিয়ে নেই।  ভারতে ২৩ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়েছে। আমাদের প্রয়াস সফল হয়েছে। ৭টি সংস্থা বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরি করছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি এদিন তিনি জানান, ২১শে জুনের পর থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিন বাবদ খরচ করতে হবে না। 

দেখুন ভিডিও--