আগামী এক মাসের মধ্যেই দল সর্বভারতীয় স্তরে ভূমিকার রূপরেখা ঠিক করে ফেলবে: সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক 




সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হওয়ার পর আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা মাঠে নেমে কাজ করেছেন, সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন এবং বর্ষীয়ান প্রবীণ নেতৃত্বের সুপরিকল্পিত চিন্তাধারাকে বাংলার মানুষের কাছে আমি পৌঁছে দিতে পেরেছি। ২০১৪ সাল থেকে ৭ বছর যুব সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। দল আমাকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করেছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি গতকাল ইতিমধ্যেই সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পরামর্শ নিয়েছি।"


এদিনের বৈঠকে বিজেপির তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষের জবাব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেছেন, বিজেপি তো বলে বাংলার বাইরে তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই। তাহলে তারা আমার নিযুক্ত নিয়ে তারা এত উদ্বিগ্ন কেন? তাঁর কথায়, ‘ভোটের প্রচারে বিজেপির ইস্যু ছিল ছিল পরিবারতন্ত্র। মানুষের কাছে তারা উপযুক্ত জবাব পেয়েছে।


পাশাপাশি এদিন বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেছেন, বিজেপি যদি একান্তই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে তারা তো সংসদে এনিয়ে আইন করতে পারে। আইনে বলতে পারে, কোনও পরিবারের একজনের বেশি রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে পারবে না। যেদিন এই আইন হবে, তিনিই সবার প্রথমে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, বিজেপি এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা করছে।


এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহকে টেনে অভিষেক বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে, আগামী ২০ বছর তিনি রাজ্য সরকারের কোনও পদে থাকতে চাই না। কিন্ত অমিত শাহর ছেলে কি বলতে পারেন যে, তিনি আগামী ২০ বছরে বিসিসিআই সভাপতি হবেন না।


অভিষেক বলেছেন, অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে বিজেপির নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। তাদের যে সমস্ত নেতার আত্মীয়রা রাজনীতিতে যুক্ত, তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত। 


অভিষেকের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনেরও রাজনীতিকরণ হয়েছে। তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে একদফায় ভোট হয়েছে, অসমে ৩ দফায় ভোট হয়েছে। সেখানে বাংলায় ভোট হয়েছে ৮ দফায়। উদ্দেশ্য, একটা রাজনৈতিক দলকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া। এতে কী হল! কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ। 


অভিষেক আরও বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই দল সর্বভারতীয় স্তরে তার ভূমিকার রূপরেখা ঠিক করে ফেলবে। তবে যে রাজ্যেই যাক না কেন তৃণমূলের লক্ষ্য হবে সেই রাজ্য জয় করা।

আর কি বললেন অভিষেক দেখুন ভিডিও-