করোনা মোকাবিলায় ব‍্যর্থতা ঢাকতে গ্রেফতারি: নারদকাণ্ডের নিন্দা CPIM -র 




আজ সকালেই নারদকাণ্ডে রাজ‍্যের চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ‍্যায়, এক বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ‍্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিল সিপিআইএম। সিপিআইএম-র মতে, করোনা মোকাবিলায় ব‍্যর্থতা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ। মানুষকে অন‍্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি, সিবিআই-য়ের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। 




সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'করোনা মহামারীতে যখন সারা দেশের মানুষের জীবন, জীবিকা অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন, তখনই সরকারের সীমাহীন অপদার্থতা চাপা দিতে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিতে দেওয়ার জন্যই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' 



এই বিবৃতিতে আরো লেখা হয়েছে, আমরা দীর্ঘ দশ বছর ধরে চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত সকল অপরাধীর বিচার ও লুন্ঠিত মানুষদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার দাবি নিয়ে লড়াই করছি। বহু মানুষ এই আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছে এবং অনেকেরেই দুঃখজনক মৃত‍্যু হয়েছে। নারদা টেপ নিয়ে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন‍্য বিজেপি সরকার ও তাদের পরিচালিত সংস্থা সমূহ দীর্ঘ সাত বছর কোনো ব‍্যবস্থা করেনি। বিবৃতিতে এলকে আদবানির 'এথিক্স কমিটি' অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে বলেও জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ‍্যপালের বিপরীতমুখী অবস্থানের কথা জানান। আরো লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার দুমুখো নীতি নিয়ে চলছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন‍্য দর কষাকষি ও দল ভাঙানোর জন‍্য এই কেলেঙ্কারি চাপা দিয়ে এই সব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত অন‍্যান‍্যদের রক্ষাকবচ দিতে নিজের দলের নেতা বানিয়েছে। 


আরও বলা হয়েছে, 'কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। বিজেপি-র মনে রাখা উচিত, সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকার চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন' 




এরপরেই বিবৃতিতে মমতা বন্দোপাধ‍্যায়কেউদ্দেশ‍্য করে লেখা হয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতো ভয়ংকর শক্তিকে যে মোকাবিলা করা যায় না, এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত। সংঘ পরিবার ও বিজেপি-র ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হলে নিজেদের দলে অভ্যন্তরে দুর্নীতি ও বিরোধীশূন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হয়'।