WBSSC 2nd slst: এসএসসি'র নতুন নিয়োগ নিয়মে কমিশনকে কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা
কলকাতা, ১১ জুলাই ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) নতুন নিয়োগ নীতিমালা [New Recruitment Policy] নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে [Division Bench] তীব্র অসন্তোষ ও সমালোচনা প্রকাশ পেয়েছে। বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এসএসসি-কে সুপ্রিম কোর্টে [Supreme Court] তাদের জমা দেওয়া হলফনামার [Affidavit] সমস্ত নথি আগামী সোমবারের মধ্যে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত বিশেষভাবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় 'টিচিং এক্সপেরিয়েন্স' [Teaching Experience] (শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা) যুক্ত করা এবং নম্বর বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি সেন সরাসরি প্রশ্ন করেন, "এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে? এসএসসি কি নিয়ম ভঙ্গ করছে?" আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিচারালয়ের ক্ষমতা সীমিত হলেও এসএসসি'র এই নতুন নিয়মাবলী [New Regulations] গুরুতর প্রশ্ন তৈরি করেছে। বিচারপতি সেন আরও জানতে চান, "এসএসসি কি শূন্যপদের [Vacancies] সংখ্যা বাড়াতে পারে? অতিরিক্ত শূন্যপদ যোগ করার ক্ষমতা কি তাদের হাতে আছে? ২০১৬ সালের নিয়মে যোগ্যতার মান [Eligibility Criteria] স্পষ্টভাবে নির্ধারিত। পূর্বের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হলে সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা কি বাতিল হয়ে যাবে?" তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ২০২৫ সালের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএসসি শুধুমাত্র অপ্রশিক্ষিত এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য সীমিত সুবিধা দিচ্ছে, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট কেবল বয়সের ক্ষেত্রে ছাড়ের [Age Relaxation] নির্দেশ দিয়েছিল। 'টিচিং এক্সপেরিয়েন্স'-এর বিষয়টি তাঁর কাছে "রহস্যজনক" বলে মনে হয়েছে।
অন্যদিকে, WBSSC তাদের যুক্তিতে দাবি করেছে যে, ২০২৫ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা যুক্ত করা হয়েছে কারণ নিয়ম তৈরির অধিকার রাজ্যের হাতে রয়েছে এবং কমিশন বিজ্ঞপ্তির [Notification] মাধ্যমে শূন্যপদ ঘোষণা করে। তবে, বিচারপতি সেন এই যুক্তি সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের মামলায় [Job Cancellation Case] কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় [Previous Verdict] অনুযায়ী, ২০১৬ সালের শূন্যপদে নিয়োগ অবশ্যই ২০১৬ সালের নিয়ম মেনেই করতে হবে। তাঁর মতে, নতুন শূন্যপদ যোগ করে নিয়োগের চেষ্টা করলে তা ২০২৫ সালের নিয়মের আওতায় পড়বে, যা সুপ্রিম কোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশের [Clear Directive] সাথে সাংঘর্ষিক [Contradictory]।
মামলাকারীদের আইনজীবী [Petitioners' Lawyers] বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস সামিম এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে কোন নিয়ম প্রযোজ্য হবে, তা দ্রুত স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন। বিচারপতি সেনের বেঞ্চ আবারও জোর দিয়ে বলেছে যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দেওয়া আছে যে ২০১৬ সালের শূন্যপদে নিয়োগে ২০১৬ সালের নিয়ম মানতে হবে। ২০১৬ এবং ২০২৫ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে এক করে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছিল যে শিক্ষকরা কোনো অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন না। কিন্তু নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কেবল বয়স এবং ন্যূনতম যোগ্যতার মার্কসে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা মামলাকারীদের মতে, ন্যায়বিচারের পরিপন্থী [Against Justice].
এই মামলায় WBSSC-এর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া [New Recruitment Process] এবং ২০১৬ সালের নিয়মের প্রয়োগ নিয়ে আদালতে তীব্র বিতর্ক চলছে। আদালতের পরবর্তী শুনানিতে [Next Hearing] এই জটিল বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে কমিশনের বর্তমান সিদ্ধান্ত গুরুতর বিচার বিভাগীয় প্রশ্নের [Judicial Question] মুখে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊