কোচবিহার থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন পরেশচন্দ্র অধিকারী  



রাজ‍্য বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে বাংলার মসনদ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন‍্য সরকার গঠন করলো তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের মতোন মুখ‍্যমন্ত্রীও হয়েছেন মমতা বন্দোপাধ‍্যায়। আজ রাজভবনে শপথ নিলেন তৃতীয় তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীসভার সদস‍্যরা। মোট ৪৩জন সদস‍্য নিয়ে গঠিত হল মন্ত্রীসভা। মুখ‍্যমন্ত্রী সহ ৪৪জন। ২৪জন পূর্ণমন্ত্রী, ১০জন স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ও ৯ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে। 




কোচবিহার থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন পরেশচন্দ্র অধিকারী। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ বিধানসভা থেকে একুশের বিধানসভায় জয়লাভ করেন তিনি। তাঁকে দেওয়া হল স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। উল্লেখ‍্য, শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে ব্রাত‍্য বসুকে। যিনি ২০১১-এ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ‍্যায় এবার আবার ব্রাত‍্য বসু। ব্রাত‍্যবসু সহকারি হিসেবেই দায়িত্ব পেলেন পরেশ চন্দ্র অধিকারী। 




প্রসঙ্গত, রাজ‍্য বিধানসভায় বিপুল জয় লাভ করলেও উত্তরবঙ্গে কার্যত ভরাডুবি তৃণমূলের। বেশিরভাগ আসনেই আধিপত‍্য দেখিয়েছে বিজেপি। কোচবিহার জেলার নয় বিধানসভা মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, সিতাই, শীতলকুচি, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, নাটাবাড়ি, কোচবিহার উত্তর ও কোচবিহার দক্ষিণের মধ‍্যে মাত্র দুটি সিটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মেখলিগঞ্জ থেকে জয়ী হয়েছেন পরেশ চন্দ্র অধিকারী এবং সিতাই থেকে জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। কয়েকদিন থেকেই পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। মন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন তিনি। আর তা সত‍্যিই হল।