রাজ্যে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হলেন শুভেন্দু অধিকারী





একদিকে রাজ্য মন্ত্রীসভার মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা নির্বাচন হল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির। বিপুল ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঠিত হল মন্ত্রীসভাও। একে একে সবেতেই হ্যাট্রিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে আজকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বাঁচল প্রথমবার বাংলার মাটিতে বিরোধী আসন দখল করা বিজেপি।



কয়েকদিন থেকেই চলছিল জল্পনা। মুকুল নাকি শুভেন্দু নাকি আর কেউ? কে হচ্ছে বিরোধী দলনেতা। সেদিকেই নজর ছিল বাংলার। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিরোধী নির্বাচিত হলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেন। তাতে ২২ জন সমর্থন করেন। বাকি কারও নামের প্রস্তাব আসেনি বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধী দলনেতা হল শুভেন্দু অধিকারী।



কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নিযুক্ত দলের দুই পর্যবেক্ষক, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব সহ দলের নবনির্বাচিত ৭৭ জন বিধায়ক নিয়ে সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে পরিষদীয় দলের বৈঠকে শুভেন্দুর নাম চূড়ান্ত হয়।


গত বছর ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের হেভিওয়েট সিট নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও, তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। মমতাকে হারানোর পুরষ্কার পেলেন শুভেন্দু। দলের অন্দরে মনোজ টিগ্গার নাম উঠে এলেও মনোজ টিগ্গা সংঘ ঘনিষ্ঠ এবং দলের পুরনো কর্মী আবার অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীই এগিয়ে ছিলেন। শেষে শুভেন্দুকেই নির্বাচিত করা হল।