রাজভবনের সামনে ভেড়ার পাল নিয়ে প্রতিবাদ, বিকাল ৫ টার মধ্যে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের





গত সোমবার সকালে নারদা কাণ্ডে চার নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু নিজাম প্যালেস, রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। 

এবার তা নিয়েই সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইট করে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি গোটা ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন খোদ রাজ্যপাল।

রাজ্যপাল জানিয়েছেন- "রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে সেদিন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল। সেদিন পুলিশের সামনেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পুলিশ বাহিনীর সামনেই ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে এই লুম্পনেদের তথাকথিত প্রতিবাদ। তারা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে নানা ধরণের স্লোগান তোলেন, যেটা মর্যাদাহানিকর। দীর্ঘক্ষণ তারা নর্থ গেটটিকে আটকে রাখে। রাজভবনের মতো হাই সিকিউরিটি জোনে এই ঘটনায় রাজ্যপাল ও তার পরিবারের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত। এই ঘটনার সময় পদস্থ পুলিশ কর্তারা কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি।" 

রাজভবনের চারপাশ ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও এইভাবে জমায়েত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সাথে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার ভেড়ার পাল নিয়ে সিটিজেন্স এগেন্সট ডার্টি পলিটিক্স অ্যান্ড কোরাপশন সংগঠনের আওতায় রয়েছেন বলে দাবি করা এক যুবক রাজভবনের সামনে প্রতিবাদ দেখাতে আসেন। পরে পুলিশ তাকে সরিয়ে দেয়। 

রাজ্যপালের দাবি সোমবারের ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার হাফ ডজন ভেড়া নিয়ে এক ব্যক্তি নর্থ গেটের সামনেটা আটকে দেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি ছবির জন্য পোজ দিতে শুরু করেন। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে এই নাটক দেখল। কী তার পরিচয়, তার হাতে অস্ত্র ছিল কিনা সেটা না দেখেই তাকে ওই জায়গা থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হল। 

কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে দুটি ঘটনারই বিস্তারিত রিপোর্ট ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে আজ বিকাল ৫ টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।


সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।